মমতা’র জয়, তিনিই মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। ভবানীপুর বিধানসভা আসনের এই উপনির্বাচনের ফলাফল তার ভাগ্য নির্ধারণ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী হতে তার জন্য কোনো বাধা নেই।
তিনি ৫৮,৮৩২ ভোটে বিজেপিকে পরাজিত করেছেন এবং জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। ভবানীপুরে ভোট গণনা এলগিন রোডের শাখাওয়াত মেমোরিয়াল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে হয়েছে। গণনা কেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নন্দীগ্রামে হেরে গেলেও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হন। তিনি তার পদ ধরে রাখতে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গত বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ করা হয়।
রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জি গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসনে জিতেছিলেন। পরে তিনি পদত্যাগ করলে আসনটি খালি হয়ে যায়।
মমতা এবং তার দল জয়ের উপর নির্ভর করলেও ভোটের ফলাফলের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইলে মমতার জয় ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
মমতা নন্দীগ্রাম আসনটি প্রধান বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গেলেও মুখ্যমন্ত্রী হন। যাইহোক, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, তাকে ছয় মাসের মধ্যে যে কোন আসনে উপনির্বাচনে জিততে হবে। প্রিয়াঙ্কা তিবরেওয়াল ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে লড়াই করেন।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে ভোটার ছিল মাত্র ৫৭ শতাংশের বেশি। গত ২৬ এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে। তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ২৮,৭১৯ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। এপ্রিলের উপনির্বাচনের তুলনায় সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে ভোটার কিছুটা কম ছিল, কিন্তু ভবানীপুরে আগের উপ-নির্বাচনের তুলনায় ভোটার ছিল অনেক বেশি। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয়ী হন। ভোটার ৪৫ শতাংশেরও কম ছিল। মমতা মাত্র ৫৪,০০০ ভোটে জয়ী হন।
এবার ভবানীপুরে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১২। বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা তিব্রেওয়ালকে প্রার্থী করেছিল। সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। প্রসঙ্গত, তিনি পেশায় একজন আইনজীবীও।