ভ্যাকসিন উৎপাদনে আন্তর্জাতিক মানের একটি ইনস্টিটিউট হবে: প্রধানমন্ত্রী
সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকারের দেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট স্থাপন এবং করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য একটি ভ্যাকসিন নীতিমালা প্রণয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট নতুন ভ্যাকসিনের জন্য প্রাক-যোগ্যতা অর্জন করা সহজ করে তুলবে। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের বৈদেশিক বাজার সম্প্রসারণে সহায়তা করবে। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার আবির্ভাবের পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও উৎপাদনের গুরুত্ব বাড়িয়েছে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, ভ্যাকসিনের আরও গবেষণা এবং উৎপাদনের প্রয়োজন বাড়ছে।
“প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ শিশুকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে বাঁচানো হয়,” তিনি বলেন। টিকাটি অ্যান্টিবডি তৈরি করে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। করোনা মহামারীর আবির্ভাবের পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও উৎপাদনের গুরুত্ব বহুগুণ বেড়েছে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে গবেষণা ও ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আন্তর্জাতিক মানের ইমিউনাইজেশন ইনস্টিটিউট গড়ে উঠলে ভ্যাকসিন উৎপাদন ও গবেষণায় প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়া যাবে। এতে দেশের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের সক্ষমতা আরও বাড়বে। ভ্যাকসিন উৎপাদন, প্রয়োগ এবং মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও আপ-টু-ডেট হবে।
তিনি বলেন, “নতুন আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হলে দেশের জন্য নতুন ভ্যাকসিন তৈরি করা সহজ হবে।” ফলে অল্প টাকায় দেশেই পাওয়া যাবে ভ্যাকসিন।