ভোটের মাঠে থাকছে না জাতীয় পার্টির ১০ প্রার্থী
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র চার দিন বাকি। এরই মধ্যে একের পর এক নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যাচ্ছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। গত মঙ্গলবার দলটির পাঁচ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দেন। গত তিন দিনে জাতীয় পার্টির ১০ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
মঙ্গলবার পর্যন্ত হবিগঞ্জ-২, টাঙ্গাইল-৭, দিনাজপুর-২, গাজীপুর-৪, চুয়াডাঙ্গা-১ ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
মঙ্গলবার টাঙ্গাইল-৭, দিনাজপুর-২, গাজীপুর-৪, চুয়াডাঙ্গা-১ ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এছাড়া সোমবার (১ জানুয়ারি) হবিগঞ্জ-২ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দেন। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর বরিশাল-২, বরিশাল-৫, বরগুনা-১ ও গাজীপুর-১ আসনের প্রার্থীরাও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
নির্বাচনে আসা জাতীয় পার্টির নেতারা জানান, নির্বাচনের শুরুতে দলের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হলেও এখন তারা দলের প্রতিশ্রুত আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন না। শুরুতে অনেক প্রার্থী নিজের টাকা খরচ করে নিজ নিজ এলাকায় পোস্টার ও নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। কিন্তু দলের প্রতিশ্রুত আর্থিক সহায়তা না পাওয়ায় এখন অনেকেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া জাপা প্রার্থী অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন অভিযোগ করেছেন, তার দল কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না। এমনকি দলের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদককে ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করছেন না।
তিনি বলেন, গত বুধবার থেকে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত আছি। কারণ আমি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের টাকা দিয়ে নির্বাচন করার মতো অবস্থায় নেই। এ ছাড়া দলের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। ফোন করলেও তারা ধরেনি। কেন্দ্রে যারা আছেন তারা সহযোগিতা করছেন না। সারা বাংলাদেশে জাতীয় পার্টির ৩৮৩ জন সদস্যের মধ্যে সরকারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ২৬ জনকে আসন দিয়েছে। আমরা সবদিক দিয়ে বঞ্চিত হয়েছি।
এদিকে দলকে না জানিয়ে যারা নির্বাচন থেকে সরে গেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।