জাতীয়

ভোটারদের দশ আঙুলের ছাপ নেবে ইসি।জানুয়ারিতে শুরু করার পরিকল্পনা

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার সময় যেসব ভোটার চারটি আঙুলের ছাপ দিয়েছেন তাদের নতুন করে ১০টি আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে আগামী বছর একটি কর্মসূচি নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে যারা ইতিমধ্যে ১০টি আঙুলের ছাপ নিয়ে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন তাদের নতুন আঙুলের ছাপের প্রয়োজন হবে না।

শনিবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ঢাকা অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয় সভায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের (এনআইডি) মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবির এ তথ্য জানান।

এনআইডি-সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৩২ লাখ। এর মধ্যে স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন মাত্র ৬ কোটি ভোটার। স্মার্ট কার্ড নেওয়ার সময় তাদের ১০টি আঙ্গুলের ছাপ এবং আইরিসের ছবি নেওয়া হয়েছে। বাকি ৫.৫ কোটি নাগরিককে ১০ আঙুলের ছাপ দিতে হবে।

ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার, ইলেকশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক আবদুল বাতেন, যুগ্ম সচিব শাহেদুন্নবী চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ঢাকা অঞ্চলের চার কর্মকর্তাকে সেরা নির্বাচন কর্মকর্তার পুরস্কার দেওয়া হয়। তারা হলেন ঢাকা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসেন খান, কেরানীগঞ্জ নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফরোজা খাতুন ও ডেমরা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা আল আমিন।

অনুষ্ঠানে ইসি সচিব মোঃ হুমায়ুন কবির খোন্দকার বলেন, এনআইডি সেবার গতি না বাড়ালে নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়া চলমান উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ভোটার তালিকায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই সাবধানে কাজ করুন। যাতে ভোট দেওয়ার যোগ্য কেউ তালিকা থেকে বাদ না পড়ে; এছাড়াও, কেউ যাতে দ্বিগুণ ভোটার না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করার পাশাপাশি তিরস্কার করা উচিত।

আসন্ন সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে আঙুলের ছাপ হালনাগাদ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান এনআইডির মহাপরিচালক। যারা স্মার্ট কার্ড নিয়েছেন তারা ১০ আঙুলের ছাপ দিয়েছেন। যারা ১০ আঙুলের ছাপ দেননি, আগামী জানুয়ারি থেকে তাদের ১০ আঙুলের ছাপ নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এনআইডি সেবায় দালালদের তৎপরতা বন্ধে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আশেপাশে দালাল শ্রেণি রয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত তোমাকে-আমাকে বিক্রি করছে। এবার ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আগামীতে তরুণদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সভায় ঢাকার আঞ্চলিক পর্যায়ে এনআইডি রিভিশন ও বদলি সংক্রান্ত আবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়। এ সময় জানানো হয়, এ পর্যন্ত মোট আবেদনের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৩৫৩টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ২০ হাজার ৯৪৫টি। আর অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ১৮ হাজার ৪০৮টি আবেদন। ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬৪৮টি আবেদন বিচারাধীন রয়েছে।

মন্তব্য করুন