অভিমত

ভাস্করদের নিয়ে ১০ দিনের রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম

দাঁড় : আন্তর্জাতিক ভাস্কর্য রেসিডেন্সি, ভাস্কর্য কেন্দ্র চট্টগ্রাম ও আইএবি চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার এর উদ্দোগে এবং বাংলাদেশ আর্ট উইক ও হেরিটেজ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় চট্টগ্রামের ফোতেয়াবাদে, স্থপতি এবং ভাস্করদের নিয়ে ১০ দিনের রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম, ২রা জুন শুক্রবার একটি ওপেন স্টুডিও প্রদর্শনীর মাধ্যমে শেষ হয়েছে। বিকেলে, রেসিডেন্সিতে অংশগ্রহণকারী নয়জন শিল্পীর ১৫ টি কাজ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। শিল্পীরা যে যেখানে কাজ করেছেন, সেখানেই তাঁদের শিল্পকর্ম স্থাপন করা হয়েছে । অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ।

তিনি প্রদর্নী দেখে অভিভুত হন ও বলেন “এই প্রদর্শনী আমার চোখ খুলে দিয়েছে। একজন ব্যক্তি বা কর্পোরেট হিসাবে, আমাদের সকলেরই দায়িত্বশীল এবং উদ্যোগী হওয়া উচিত আমাদের এই সুন্দর শহরটিকে শিল্প ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ করতে।”

আন্তর্জাতিক ভাস্কর্য রেসিডেন্সির ১ম সংস্করণে ৩টি দেশের ৯ জন শিল্পী ও স্থপতি অংশগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত ভাস্কর অলক রায় দ্বারা কিউরেটেড এবং নিলুফার চমন ও অরণী রায় সমন্বয়ে। বাংলাদেশের চার ভাস্কর অসীম হালদার সাগর, বিলাস মন্ডল, পারভেজ আলম, মো: আনিসুল হক, ভারতীয় ভাস্কর নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাস্কর জাহরা জেওয়ানজীসহ দেশের তিনজন স্থপতি মুহাম্মদ শাফায়েত হোসেন, সুমাইয়া শিরীন ও জননেতা বুয়েদরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

বাংলাদেশ আর্ট উইক অ্যান্ড হেরিটেজ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, নীহারিকা মমতাজ বলেন, “বাংলাদেশ আর্ট উইক এবং হেরিটেজ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামে শিল্পী ও স্থপতিদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম কোলাবোরেটিভ রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম উপস্থাপন করতে পেরে অতি আনন্দিত এবং এটি প্রতি বছরই হবে।”

প্রদর্শনী সম্পর্কে কিউরেটর অলক রায় বলেন, “স্থপতিরাও ভাস্করদের মতো ত্রিমাত্রিক বস্তু নিয়ে কাজ করেন। তবে পার্থক্য হলো, সেসব বাসগৃহ বা মানুষের কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু ভাস্কর্যের সঙ্গে স্থাপত্যের একটা নৈকট্য রয়েছে। এই রেসিডেন্সি প্রোগ্রামে সেই নৈকট্য নতুনভাবে আবিষ্কারের চেষ্টা করেছেন শিল্পীরা।”