• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    ভাসানচরে স্থানান্তরিত হলেও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারেই ফিরেতে হবে

    মিয়ানমার থেকে জোর করে বাস্তুচ্যুত হওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনকে বাংলাদেশ সরকার অগ্রাধিকার দেবে। অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের সুরক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সঙ্কটের একমাত্র স্থায়ী সমাধান হ’ল তাদের দেশে ফিরে যাওয়া।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভাসানচরে কক্সবাজারে ১৬ এরও বেশি রোহিঙ্গাকে অস্থায়ী আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।শুক্রবার রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যারা স্বেচ্ছায় সেখানে যেতে চেয়েছিলেন কেবল তাদেরই পাঠানো হয়েছে। সেই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা পাঠানো হবে। তাদের সম্প্রদায়ের নেতারা তাদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার আগে জায়গাটি পরিদর্শন করেছিলেন। এনজিও ও মিডিয়া কর্মীরা ভাসানচরও পরিদর্শন করেছেন। সেই জায়গাটি এখন সম্পূর্ণ নিরাপদ। সরকার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন, খাবার ও চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারী সংস্থা এবং ২২ টি এনজিও সহায়তা প্রদান করবে।

    মন্ত্রণালয় আরও বলেছে যে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। তাদের অবশ্যই ফিরতে হবে। আমরা সবাইকে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টা দুর্বল বা ভুল ব্যাখ্যা না করার জন্য সর্বাত্মক যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানাই। মানবাধিকার সংস্থাগুলিকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদে ও মর্যাদার সাথে মিয়ানমারে ফিরেই নেবার জন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হবে।

    ভাসানচরে আধুনিক সমস্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এটিতে মিঠা পানির, সুন্দর হ্রদ, অবকাঠামো, বিদ্যুত ও পানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ, কৃষি জমি, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, দুটি হাসপাতাল, চারটি কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, টেলিযোগাযোগ পরিষেবা, বিনোদন, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং খেলার মাঠ রয়েছে। মহিলা পুলিশ সদস্যসহ পুলিশ মোতায়েন করে দ্বীপে পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও, অঞ্চলটি সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত।

    আবাসন প্রকল্পটি কংক্রিট দিয়ে তৈরি। ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ্য করতে সক্ষম। ঘূর্ণিঝড় আম্পান ভাসানচরে আঘাত হেনেছে তবে আবাসন কাঠামোর কোনও ক্ষতি হয়নি। ভাসানচরে ১৪৪০ টি বাড়ি এবং ১২০ টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। দ্বীপটি নৌপথ দিয়ে মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত। সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহের পাশাপাশি সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করছে।

    মন্তব্য করুন