• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন আজ উদ্বোধন

    আজ শনিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ ডিজেল পাইপলাইন। বিকেল সাড়ে ৫টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে তেলের ট্যাংকার নির্মাণের কাজ এখনো শেষ হয়নি।

    ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির লুমানিগড় শোধনাগার থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুরে পৌঁছাবে। পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) দাবি করেছে যে এই লাইনের কারণে উত্তরের ১৬ টি জেলায় ডিজেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ভারত থেকে আসা এই তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় কম হবে।

    জানা গেছে যে পাইপলাইন নির্মাণের জন্য সমঝোতা স্মারকটি ২০১৮ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। পাইপলাইনের মোট দৈর্ঘ্য ১৩১.৫ কিলোমিটার যার মধ্যে ভারতের অংশ ৫ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের অংশ ১২৬.৫ কিলোমিটার। পাইপলাইন নির্মাণের কাজ করেছে ভারতের দীপন গ্যাস। তেল ডিপো নির্মাণের কাজ করছে ভারতের পাইপ লাইনার্স লিমিটেড। পাইপলাইন নির্মাণে বাংলাদেশের ব্যয় হয়েছে ৩০৬ কোটি টাকা।

    পার্বতীপুরে ইতিমধ্যে একটি জ্বালানি তেল স্টোরেজ ডিপো রয়েছে, যেখানে ১৪ হাজার টন তেল মজুদ করা যাবে। নতুন ২৯ হাজার টন তেল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ডিপোতে এখন ৪৩ হাজার টন তেল মজুদ করা যাবে, যা উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলার ৬০ দিনের চাহিদা মেটাবে। তবে নতুন ট্যাংকার নির্মাণের কাজ এখনও শেষ হয়নি। এ জন্য দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রয়েছে। করোনার কারণে পণ্য আমদানিতেও ব্যাঘাত ঘটছে ট্যাংকার নির্মাণের কাজ পরে শুরু হলেও শেষ হতে আরও অন্তত তিন মাস সময় লাগবে। এই ডিজেল দিয়েই সৈয়দপুর ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র চলবে, যা উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে সরকার।

    মন্তব্য করুন