ভারত চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে পাশাপাশি চায় অন্তর্বর্তী সরকার
বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাস করতে চীন, আমেরিকা ও ভারতকে পাশে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।
এ লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, চীনের বাংলাদেশ দূতাবাস ও ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে একটি বৈঠকের আয়োজন করতে যাচ্ছে। এর আয়োজক থাকবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়,সমন্বয় করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। সেপ্টেম্বরে সুবিধাজনক দিনে এই বৈঠকের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এরই মধ্যে রাজি হয়েছেন।
বৈঠকে রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার কৌশলও নির্ধারণ করা হবে। এতে আমেরিকা, ভারত ও চীনের পূর্ণ সহায়তা চাওয়া হবে। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনার সারসংক্ষেপ তৈরি করা হচ্ছে, যা আগামী মাসের শুরুতে সংশ্লিষ্ঠদের কাছে পাঠানো হবে।
অর্থ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তনের কারণে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত ও চীন তাদের নীতি পরিবর্তন করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনএইচসিআর) অনুরোধ জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। কারণ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সাহায্য কমে যাওয়ায় রোহিঙ্গাদের আর্থিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার।
অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগীরা রোহিঙ্গাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে। কিন্তু উন্নয়ন সহযোগীরা সম্প্রতি করোনা মহামারী, বৈশ্বিক সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়িয়ে রোহিঙ্গা নাগরিকরা তাদের প্রয়োজন মেটাতে ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।