জাতীয়

ব্রিটেনের হৃদয়েও লাল-সবুজ দোলা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বর্ণজয়ন্তী কেবল বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের মতো ব্রিটেনের হৃদয়েও দোলা দিয়েছে লাল ও সবুজের বাংলাদেশ।

পৃথক বার্তায় দ্বিতীয় রানী এলিজাবেথ, প্রিন্স চার্লস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্মের পঞ্চাশতম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

শুক্রবার লন্ডনে ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাভেস সহ বিভিন্ন আইকনিক ভবনে বাংলাদেশের লাল ও সবুজ পতাকা উত্তোলন করা হয়। ক্যানারি ওয়ার্ফ এবং লন্ডন আই সেজেছে লাল এবং সবুজ রঙে।

ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল দশটায় পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় হাই কমিশনার এবং মেয়র সবাইকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

হাই কমিশনার শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বাংলাদেশীদের যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সংগ্রহ করেন। তিনি বলেন যে এই সময়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র ছিল টাওয়ার হ্যামলেটস। হাইকমিশনার তার বক্তব্যে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জনগণের সমর্থনকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, এই বছরটি আমাদের স্বাধীনতার স্বর্ণজয়ন্তীই নয়, ব্রিটেনের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের স্বর্ণজয়ন্তীও রয়েছে। এই উপলক্ষে আমি ব্রিটিশ সরকার, রাজনীতিবিদ এবং জনগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বার্ষিকীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ৫০ বছরে বাংলাদেশ যা অর্জন করেছে তা উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশ বর্তমানে একটি অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নশীল দেশ। আমরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধির স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে চাই।

তাঁর অভিনন্দন বার্তায় বরিস জনসন বলেন ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাউনিং স্ট্রিট সফরের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন যে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে এসেছিলেন। যা আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বের সূচনা ছিল।

এর আগে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং প্রিন্স চার্লস তাদের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন