ব্যাটে-বলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় দিন
মাউন্ট ম্যাঙ্গাইনুতে বোলারদের পর ব্যাটসম্যানদের দৃঢ় সংকল্প নিয়ে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন এগিয়ে নেয় বাংলাদেশ দল। সকালে দ্বিতীয় দিনের খেলায় ৭০ রান করে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ফলস্বরূপ, স্বাগতিকরা তাদের সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩২৮ রান সংগ্রহ করে। ৫ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে দিন শুরু করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে মাহমুদুল হাসানের ও নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটিতে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে। আগামীকাল তৃতীয় দিনের ম্যাচে আবারও ব্যাট করবে সফরকারীরা। সফরকারীরা এখনো ১৫৩ রান পিছিয়ে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বোলিং করে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন শরিফুল ইসলাম। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজের ঘূর্ণি জাদু। আর শেষটা গুটিয়ে যাওয়ায় বেশিদূর যেতে পারেননি মুমিনুল হক।
৫ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা কিউইরা প্রথম ইনিংসে ১০৮.১ ওভারে ৩২৮ রানে গুটিয়ে যায়। বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার শরিফুল। ২৬ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার। মিরাজও পেয়েছেন ৩ উইকেট, ৩২ ওভারে তার খরচ ৮৬ রান। অন্যদিকে পার্টটাইম বোলার মুমিনুলও ভাসিয়েছেন সাফল্যের সাগরে। ৪.১ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে তিনি কনওয়ে এবং নিকোলসের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। ১ উইকেট পান এবাদত হোসেন। নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান আসে ডেভন কনওয়ের ব্যাট থেকে। প্রথম দিনে সেঞ্চুরি করা কনওয়ে ১২২ রানের ইনিংস খেলেন। ৭৫ রান এসেছে হেনরি নিকোলসের ব্যাট থেকে। হাফ সেঞ্চুরি করেন উইল ইয়ং (৫২)। নিউজিল্যান্ডকে ৩৫০ রানের আগেই থামানো ছিল বিশাল অর্জন। কিউইদের নিজেদের মাটিতে এত কম রানে অলআউট করেনি বাংলাদেশ।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে ক্রাইস্টচার্চে ৩৫৪ রানে অলআউট হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এদিকে, গত ৫ বছরে অষ্টমবারের মতো নিউজিল্যান্ড ৩৫০ রানের নিচে অলআউট হয়েছিল। এদিকে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরির পথে ছিলেন জয়। এর আগে তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। কিউই স্পিনার রচিন রবীন্দ্র ৯০ বলে বিশাল ছক্কা মেরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন। অন্যদিকে দুর্দান্ত খেলে ফিফটি তুলে নেন জয়। ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলে প্রথম ফিফটি পূরণ করতে ১৭৫ বল খেলেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান! সাদমানের আউটের পর ওপেনিংয়ে জয়ের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে রানের চাকা শান্ত রাখে। এরপর দলের অধিনায়ক মুমিনুল হককে দিয়ে দিন শেষ করেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। জয় ২১১ বলে ছয়টি চারের সাহায্যে ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২১ বলে ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল।