ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ।চার ব্যাংক কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের কারাদণ্ড
নোয়াখালীতে ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় সোনালী ব্যাংকের চার কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের বিভিন্ন ধারায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নোয়াখালী সদর উপজেলার সোনাপুর বেসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকার মেসার্স ডলফিন সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন ফারুক, সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখার সাবেক এজিএম এ জে আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাকের উল্লাহ, সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার সোনালী ব্যাংকের সাবেক এওজি ক্যাশ-২ এম এ রহমান ও সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালযয়ের বরখাস্ত প্রকৌশলী সামছুদ্দোহা নাহাদ।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালী জেলা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আ ন ম মোরশেদ খান এ রায় দেন। এ মামলার রায়ে আসামির স্ত্রী ও সন্তানদের আয় ও সম্পদের উৎস অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোয়াখালী জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ব্যবসায়ী ফারুক ও চার ব্যাংক কর্মকর্তা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে প্লেজ গুদামে মাছ না রেখে ভুয়া লেটার তৈরি করেন। পরে এটি ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার পরে, একটি বিল-ভাউচার প্রস্তুত করে, গ্রাহকের নামমাত্র ঋণ হিসাবে ঋণের অর্থ স্থানান্তর করুন এবং নগদে উত্তোলন করেন। এই ঋণের টাকা অন্য জায়গায় স্থানান্তর ও রূপান্তর করে তিনি অর্থ পাচারের সাথে জড়িত সম্পত্তি অর্জন করেন। শেষ নিদর্শন (প্লেজ করা মাছ) খোঁজার পর ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টাকা আত্নসাৎ করেন।
এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর নোয়াখালীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান তদন্ত শেষে কমিশনের অনুমোদন নিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দুদকের পিপি আবুল কাশেম রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জাকের উল্যাহ, এম এ রহমান ও সামছুদ্দোহা নাহাদকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলেও একসঙ্গে সাজা কার্যকর হওয়ায় তাদের ১০ বছর সাজা খাটতে হবে।