ব্যাংকের কাগজ জাল করে বাগিয়ে নেয় তিস্তা সেতুর কাজ।মামলা করছে দুদক
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর উপর দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। দুটি সংস্থা যৌথভাবে এতে অংশ নিয়েছিল। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে তারা কাজটি পায়ও। পরে তারা সাড়ে ছয় কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেয় দরপত্রের নথির সঙ্গে। দিয়েছিল পারফরম্যান্স সিকিউরিটি গ্যারান্টির কাগজও। যাচাইয়ে তাদের সেসব নথি জাল বলে ধরা পড়েছে। বাতিল করা হয়েছে কার্যাদেশ।
টেন্ডারে অংশ নেওয়া দুটি সংস্থা হলেন পিটিএসএল মৈত্রী লিমিটেড এবং ইনফ্রেটেক কনস্ট্রাকশন। তারা ঢাকা ইউনিয়ন ব্যাংকের পান্থপথ শাখার উল্লেখ করে ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিয়েছিল। একই ব্যাংকের একই শাখার উল্লেখ করে ৩৯ কোটি টাকার পারফরম্যান্স সুরক্ষা চিঠি জমা দেওয়া হয়েছিল।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে তাদের জাল জালিয়াতির নথি।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর বাজার থেকে চিলমারী উপজেলা সদর রোডে তিস্তা নদীর উপরে এক হাজার ৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্য পিসি গার্ডার সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল পৌনে চারশ কোটি টাকা। এই কাজ পেতে সাড়ে ছয় কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি ও মোট খরচের ৫ শতাংশ হারে ৩৯ কোটি টাকার পারফরম্যান্স সিকিউরিটি পত্র জমা দেওয়া হয়েছিল।
জালিয়াতির কারণে দুটি সংস্থাকে কাজের আদেশ দেওয়া হয়নি।
ইনফ্রেটেক কনস্ট্রাকশন কোম্পানির এমডি আলী হায়দার রতন, মোঃ মোহাম্মদ আলী, পিটিএসএল মৈত্রী লিমিটেডের এমডি মাহাবুবুর রহমান এবং প্রাক্তন এলজিইডি প্রকল্প পরিচালক খন্দকার প্রমুখ। মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করবে।
অভিযোগটি তদন্ত করেছেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান মেরাজ। শিগগিরই তিনি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।