• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    বুকে কাঁপন উঠে এমন ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে যেতে

    ফুট ওভারব্রিজের স্টিল ডেকের উপর মরিচা। পথচারীদের সতর্ক করতে কেউ সচেতনভাবে গর্তের মধ্যে একটি গাছের ডাল রাখলেন। তারপরেও সেতুটি ভেঙে পড়বে বুঝতে পেরে পথচারীরা কাঁপছে সেতুটি পারাপারে।একমাত্র ফুট ওভারব্রিজ যা কমলাপুর রেলস্টেশনকে মুগদা অঞ্চলটির সাথে সংযুক্ত করে। কর্তৃপক্ষ ফুটব্রিজটি মেরামত করতে কোন উদ্যোগ নেয়নি যা প্রতিদিন হাজার হাজার লোক ব্যবহার করে।

    গত সোমবার বিকেলে রাজধানীর কমলাপুর-মুগদা ফুট ওভারব্রিজে রাস্তার পশ্চিম-দক্ষিণ পাশের সিঁড়ির মাঝে কয়েকটি স্টিল ভেঙে যায়। কিছু অংশ আয়রনের জঞ্জালের কারণে ঝুঁকি বেশি থাকে। সিঁড়ি বেয়ে উঠে কমলাপুর রেলস্টেশনের দিকে পশ্চিম দিকে প্রায় ৩০ ফুট দীর্ঘ ডেকের মাঝখানে বেশ কয়েকটি গর্ত রয়েছে। একজন সচেতন ব্যক্তি গাছের ডালগুলি ভেঙে দিয়েছেন যাতে ফুটোয় কেউ আহত না হয়। এই সেতুটি পার হতে গিয়ে রেল যাত্রীদের সহ স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।এই ফুট ওভারব্রিজটি প্রতিদিন ট্রেনের যাত্রী সহ এলাকার মানুষ ব্যবহার করেন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ফুট ওভারব্রিজটি দুটি ভাগে বিভক্ত। অতীশ দীপঙ্কর রোডের উপরের সেতুটি রেলস্টেশনে যোগ দেয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)  এটি তৈরি করেছে। রেলপথটি রেলস্টেশনের দুপাশে কমলাপুর রেল লাইনের সাথে সংযুক্ত।

    তাহমিনা খানম নামে এক পথচারী তার অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন যে কাজের কারণে তাকে ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে ভ্রমণ করতে হয়। এবং আপনাকে এই সেতুতে উঠতে হবে এবং আপনার পাটি গর্তের মধ্যে পড়লে ভয়ও পাবেন।

    মুগদা এলাকার বাসিন্দা কনক হোসেন জানান, এই ফুট ওভারব্রিজটি প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী ব্যবহার করেন। আর সেতুর দক্ষিণ পাশের কয়েকটি ডেক দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে গেছে। ফাহিম আহমেদ বলেন যে সেতুর এই অংশটি উপরে ও নিচে যাওয়ার সময় প্রায়শই হোঁচট খেতেন তিনি। কিছু লোক পিছলে পড়ে গিয়ে  আহত হচ্ছে। এটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়েছে তবে কেউই এটি মেরামত করছেন না। রাতে ব্রিজের এই অংশে স্ট্রিট লাইট না থাকায় সন্ধ্যার পরে ভুতুড়ে অবস্থা বিরাজ করে।এ বিষয়ে ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুন্সী আবুল হাশেম  বলেন, ফুট ওভারব্রিজ মেরামত করার ব্যবস্থা করা হবে।

    মন্তব্য করুন