‘বুকের রক্ত দেবো, তবুও চরের বালি দেবো না’, বললেন শাহপরীর দ্বীপবাসী।
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরী দ্বীপের নাফনাদের চরে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বাসিন্দারা। ‘বুকের রক্ত দেবো, তবুও চরের বালি দেবো না’বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন দ্বীপবাসী।
শনিবার বিকেলে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরী দ্বীপের পশ্চিম পাড়ে সমুদ্র উপকূলে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত দ্বীপের সাবেক স্কুল শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদ হোসেন বলেন, সাগর-নাফনদীর কাছে শাহপরীর দ্বীপটি ঝুঁকিপূর্ণ। দ্বীপটিতে ৩০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। কেন্দ্রীয় পর্যটন প্রকল্প নামে একটি অসাধু গোষ্ঠী নাফনাদের চর থেকে বালু উত্তোলন করছে।এই বালু উত্তোলনের ফলে দ্বীপটি বিলুপ্তির চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।ফলে দ্বীপের মানুষ চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে।আমরা চাই এই বালু উত্তোলন বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, সাবরাং অর্থনৈতিক অঞ্চলে মাটি ভরাটের জন্য নাফান্দে বাঁধের কাছে ড্রেজার বসিয়ে যেভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে শাহপরী দ্বীপ অচিরেই হুমকির মুখে পড়বে। দ্বীপের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বালু উত্তোলনের পরিবর্তে চরের বালু আশেপাশের স্থান থেকে উত্তোলন করা যেতে পারে যাতে দ্বীপটি যে কোনো সময় ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তাই বালু উত্তোলন বন্ধে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাবরাং অর্থনৈতিক অঞ্চলে মাটি ভরাটের জন্য শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়া সংলগ্ন নাফন্সের ঘোলার চরের সামনে থেকে ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। সাবরাং অর্থনৈতিক অঞ্চলে ড্রেজার দিয়ে বড় বড় পাইপ বসিয়ে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরত্বে বালু ফেলা হচ্ছে। চায়না হারবার নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রেজাউল করিম বলেন, আমাদের এলাকাকে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেওয়া যাবে না। কারো বালির প্রয়োজন হলে দ্বীপের প্রত্যন্ত জায়গা থেকে নিতে পারেন। কিন্তু এভাবে বালু উত্তোলন আমরা মেনে নেব না।
বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য হারুন অর রশিদ, সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইল, আব্দুল মান্নান, নুরুল আমিন, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল বাসেদ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।