বিশ্ববাজারে কমলেও দেশে জ্বালানি তেলের দাম কমছে না
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও এর সুফল পাচ্ছেন না দেশের ভোক্তারা। লোকসানের কারণ দেখিয়ে দেশের বাজারে দাম কমাচ্ছে না সরকার। জ্বালানি পণ্য ওয়েবসাইটগুলির তথ্য অনুসারে, গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের দাম ১০ শতাংশের বেশি কমেছে। রোববার মারবান ক্রুডের দাম (যা বাংলাদেশ আমদানি করে) ব্যারেল প্রতি ৭৫ ডলারে নেমে এসেছে। এটি চলতি বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত ৫ আগস্ট দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলে আন্তর্জাতিক বাজারে মারবান ক্রুডের দাম ছিল ১০০ ডলারের কাছাকাছি। দেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডিজেল, যা বেশিরভাগই পরিশোধিত আকারে আমদানি করা হয়, আগস্ট মাসে দাম ছিল $১১৫। এই সপ্তাহে এটি ১০৫ ডলারে নেমে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের বুদ্ধিমানের সাথে দাম নির্ধারণ করতে হবে। দাম এখনই কমছে না।
বিপিসি কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্ববাজারে দাম কমলেও ডলারপ্রতি ৮-১০ টাকা অবমূল্যায়নের কারণে ডিজেল বিক্রিতে লোকসান হচ্ছে। এখন প্রতি লিটারে তিন থেকে চার টাকা লোকসান হচ্ছে। প্রতিদিন লোকসান হচ্ছে আট কোটি টাকা। তবে এ খাত সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন, বর্তমান বাজারদরে ডিজেল বিক্রি করে বিপিসির মুনাফা করা উচিত। এ ছাড়া ফার্নেস অয়েল, পেট্রোল, অকটেন, জেড ফুয়েল বিক্রি করে মুনাফা করছে বিপিসি।
জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম কমায় দেশেও জ্বালানির দাম কমানো উচিত। ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, সরকার জনগণের কথা ভাবে না। তারা শুধু লাভ চায়।