জাতীয়

বিশেষ লেখা।যে প্রভাবগুলি বাংলাদেশে হতে পারে।

ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। বিশ্ব ও বাংলাদেশে তার জয়ের কি প্রভাব পড়তে পারে সে ব্যাপারে আলোচনা করা যায়।

এ জন্য ইতিহাসের দিকে ফেরা যাক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে যে বিশ্ব ব্যবস্থা বা ‘ওয়ার্ল্ড অর্ডার’ গড়ে উঠেছে তার নেতৃত্ব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আমি আপনাকে বিশ্বব্যবস্থা সম্পর্কে কিছুটা বলি। জাতিসংঘ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে শুরু করে বিশ্বে যতগুলো আন্তর্জাতিক সংঘ আছে তার প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এখনও নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।

জো বাইডেননির্বাচনী প্রচারের সময় ঘোষণা করেছিলেন যে জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে মোকাবেলায় নির্বাচিত হওয়ার সাথে সাথে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসবেন। আশা করা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে জায়গাগুলিতে সম্প্রতি নিজেকে জড়িয়ে রেখেছে সেই জায়গাগুলিতে বাইডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার আগের গৌরব ফিরিয়ে আনবে। ডেমোক্র্যাটরা একটি ফোরামে বলেছেন যে নির্বাচিত হলে তারা চীনের সাথে তাদের মতপার্থক্য মিটিয়ে দেবে। তিনি চীনের ক্ষেত্রে ‘সহযোগিতা নিতে চান। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক।

এই প্রসঙ্গে, আসুন বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের  সম্পর্কে কথা বলি। বাংলাদেশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফোকাসের একটি অংশ। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাংলাদেশ আগের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর কারণ হ’ল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি। তবে এখন সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশ। সে কারণেই এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চোখে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশের সামনে নীল-অর্থনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচুর বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। যাইহোক, মার্কিন সংস্থাগুলির বিনিয়োগ আকর্ষণে বাধা চিহ্নিত করে তাদের সমাধান করা দরকার। এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বাংলাদেশের পণ্যগুলির বৃহত্তম রফতানি বাজার ।

মন্তব্য করুন