বিডিআর বিদ্রোহ: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি বিডিআরের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা। কারাগারে আবদুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে এ মামলাটি করেন নিহত আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পিলখানা বিদ্রোহ মামলার আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার বাদীর আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুপুরে মামলার শুনানি হবে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কারা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সংসদ সদস্য শেখ সেলিম, নূরে আলম চৌধুরী লিটন, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক। , মির্জা আজম ও হাসানুল হক ইনু।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ও ২০১০ সালের জুলাই মাসে কর্তব্যরত কারা চিকিৎসককেও আসামি করা হয়েছে। আরও ২০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৪ দলের প্রধান শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারসহ ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। পরে বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
বাদীর অভিযোগ, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পিলখানায় ডিএডি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতারও হন।