• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    বিএনপি মনে করে দেশের বাইরে থেকে কেউ এসে ক্ষমতায় বসবে: প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে অবৈধ ক্ষমতা দখলের সংস্কৃতি রয়েছে। যারা অবৈধ ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে রাজনীতিতে এসেছে তারাই আজ গণতন্ত্রের ভান করছে!

    তিনি বলেন, শুধু দেশের ভেতরে নয়, দেশের বাইরেও অভিযোগ করা বিএনপির চরিত্র। তারা মনে করে দেশের বাইরে থেকে কেউ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন। বিদেশীদের কাছে অভিযোগ করে লাভ হবে না।

    সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের একটাই লক্ষ্য ছিল- এদেশের মানুষ যেন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও উন্নত জীবন পায়। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে তিনি আমাদের এই স্বাধীনতা এনেছেন।

    তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতার ৫৩ বছর। আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকারের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালে যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তিনি ধীরে ধীরে এদেশের মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে এদেশকে স্বাধীন করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের একটি রাষ্ট্র দিয়েছেন, জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন, বিশ্ব দরবারে আমাদের পরিচয় দেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি আনতে চেয়েছিলেন। আর এসব কারণেই তিনি এদেশের মানুষের মুক্তি এনে দেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, এদেশের মানুষ যার যা আছে তার জন্য লড়াই করতে নেমেছে। বাংলাদেশের যুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ। যারা প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে এসেছেন, দেশের মানুষকে তৈরি করেছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিহত করেছেন। শুধু প্রশিক্ষিত নয়, মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও। এতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাধাগ্রস্ত হয়। যেহেতু এটি একটি গেরিলা যুদ্ধ, সেহেতু গেরিলা যোদ্ধারা দেশে প্রবেশ করলে এদেশের মা-বোনেরা খাবার রান্না করে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দেয়; সেই কাজগুলো করেছে। গণযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি অভিযোগ করছে তাদের ওপর খুবই নিষ্ঠুর। আমরা নির্যাতন করিনি। বিএনপি-জামায়াত জোট নির্যাতন করেছে। জিয়াউর রহমান এসে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে। অফিসার ও সৈনিক থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা নির্বিচারে প্রায় ৫ হাজার মানুষকে ফাঁসি, গুলি করে হত্যা করেছে। এমনকি তাদের লাশও পায়নি পরিবারগুলো। সব লাশ গুম হয়ে গেছে।

    সরকারপ্রধান বলেন, ‘অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখলের সংস্কৃতি এবং প্রথমে চাদর পরে ক্ষমতায় আসা, রাজনীতিকে গালি দিয়ে ক্ষমতা নেওয়া, তারপর সেই চাদর খুলে রাজনীতিবিদ হওয়া এবং হস্তান্তর করে দখলদারিত্ব গড়ে তোলা। বাকী ক্ষমতা, শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। অবৈধ দখলদারদের তৈরি সংগঠন নাকি তারা গণতন্ত্র চায়। গণতন্ত্রের মাধ্যমে যাদের জন্ম হয়নি। সামরিক শাসনে যারা জন্মেছে তারা আবার গণতন্ত্র চায়। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র দেয়নি, গণতন্ত্র দেবে। তারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে।তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে, তাদের জন্ম কোথায়?অবৈধ দখলদারিত্ব আমাদের ব্যবসা নয়।আমাদের হাইকোর্ট বলেছে জিয়া-এরশাদ সম্পূর্ণ অবৈধ।তারপর তারাও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে।

    আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন সানজিদ প্রমুখ। খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক মো. আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।

    মন্তব্য করুন