বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই
অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতে আটক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের দেশে ফিরতে বাধা নেই। মঙ্গলবার ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জজ আদালতের আপিল বিভাগ এই রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর নিম্ন আদালতের রায়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে খালাস পান। কিন্তু ভারত সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। ফলে তিনি দেশে ফিরতে পারেননি।
দীর্ঘ ৪ বছর পর বিচারক আদালত নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে ভারত সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব সালাহউদ্দিন আহমেদকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ভারত থেকে আসা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তিনি দেশে ফিরতে আগ্রহী। ভারত সরকার যখনই তাকে নির্বাসন দেবে বা ব্যবস্থা নেবে তখনই তিনি দেশে ফিরবেন।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ১১ মে, তিনি নিখোঁজ হওয়ার ৬৩ দিন পর, ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ের স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধার করে এবং তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে বিদেশি আইনে মেঘালয় থানা তাকে গ্রেপ্তার করেছে। একই বছরের ২২শে জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগ গঠন করা হয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এপিএস ছিলেন। এরপর প্রশাসন ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি ২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে এমপি নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন।
ভারতে আটকের সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। ভারতে আটক থাকা অবস্থায় তিনি বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।