বাস না পেয়ে হেঁটে গন্তব্যে রিকশা ভাড়াও দ্বিগুণ
৪০ মিনিটে ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজার সিগন্যালে চলে আসি। এখন এই সিগন্যাল পেরিয়ে কবে পল্টন পৌঁছব জানি না।’ হতাশা নিয়ে বাসের যাত্রী শামীম সুলতানা বলেন। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড়ে সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সিগন্যালে যানজটে আটকা পড়ে সুলতানাকে বহনকারী বাসটি। একই অবস্থা দেখা যায় শাহবাগ মোড়ে। বাংলামোটর থেকে মৎস্যভবন সড়কে কিছু গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। সায়েন্সল্যাব ও বাংলামোটরগামী সিগন্যালে অনেকক্ষন পর কয়েকটি গাড়ি ছাড়া হচ্ছে।
শাহবাগ মোড়ে ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলেও জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি ও আজিমপুরগামী কোনো বাস দেখা যায়নি। বাস না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন অনেক যাত্রী। হতাশ হয়ে হাঁটছিলেন অনেকে, কেউ বেছে নিলেন রিকশা। সুযোগ বুঝে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া বাড়িয়ে দেন রিকশাচালকরা।
শাহবাগ থেকে জিগাতলা যাওয়ার জন্য রিকশা খুঁজছিলেন মামুন আহমেদ। চালকরা চাইছিল ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। অবশেষে ১০০ টাকায় রিকশা পেলাম। মামুন বলল, যেতে হবে। কোনো রিকশাই এই ভাড়া কমাতে রাজি নয়।
সকালে ফার্মগেট, খামারবাড়ি, বিজয় সরণি, মহাখালী, বনানীতে ছিল তীব্র যানজট। যানজটের কেন্দ্রে পরিণত হয় গুলিস্তান, পল্টন, জিরো পয়েন্ট, বায়তুল মোকাররম মসজিদের পাশের এলাকাগুলো। বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মসূচি ছিল খুবই ঘনিষ্ঠ। বেলা ১১টার পর থেকে পল্টন ও গুলিস্তান থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর প্রভাব পড়েছে শান্তিনগর, কাকরাইল, মালিবাগ, মগবাজার, রামপুরা ও বাড্ডা এলাকায়। এসব সড়কে নিয়মিত বাস চলাচল করেনি। যারা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে সড়কে নেমেছেন, তারা বিকল্প পথ ব্যবহার করেছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মনিবুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে কোনো কোনো পয়েন্টে যানজটের নানা কারণ রয়েছে। এতে সড়কে প্রচুর যানজট রয়েছে, এছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। খামারের গেটে একটা গাড়ি এসে নামছে। ফলস্বরূপ, ইতিমধ্যে আটকে থাকা গাড়ি এবং যেগুলি নামছে সেগুলি সহ সারি দীর্ঘ হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে আশপাশের এলাকায়।