• বাংলা
  • English
  • বিজ্ঞান ও প্রজক্তি

    বাতির আলোয় চলবে ইন্টারনেট

    চার গিগাবাইট স্টোরেজ সহ একটি মুভি ডাউনলোড করতে মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। আপনি যদি আবার বৈদ্যুতিক বাতির নিচে দাঁড়ান! এটা বিশ্বাস করা কঠিন, কিন্তু এমন একটি প্রযুক্তির নাম লা-ফাই। এই প্রযুক্তির সাহায্যে চোখের পলকে বড় স্টোরেজ গেম এবং সিনেমা ডাউনলোড করা যাবে।

    লা-ফাই কিভাবে কাজ করে?

    লা-ফাই একটি ভিএলসি (দৃশ্যমান আলোক যোগাযোগ) সিস্টেম এবং এই সিস্টেমের গতি অনেক বেশি। লা-ফাই সাধারণ এলইডি ব্যবহার করে ডাটা প্রেরণ করে এবং প্রতি সেকেন্ডে ২২৪ গিগাবাইট পর্যন্ত গতিতে পৌঁছতে পারে। এই প্রযুক্তির ডেটা ট্রান্সমিশন আলোকসজ্জার মাধ্যমে করা যেতে পারে। এই সিস্টেমের অপরিহার্য যন্ত্র হল উজ্জ্বল আলো ছড়ানো ডায়োড। এলইডির অন বা অফ কার্যকলাপ বাইনারি কোড আকারে ডেটা ট্রান্সমিশনের অনুমতি দেয়। তবে  মানুষের চোখ তা শনাক্ত করতে পারে না। এই কারণে বাল্বকে তখন স্থিতিশীল দেখায়।

    লা-ফাই এবং ওয়াই-ফাইয়ের মধ্যে পার্থক্য

    সম্প্রসারণ: ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির ব্যান্ডউইথ যেভাবে সম্প্রসারিত করা যায় তা লাই-ফাই দিয়ে তা সম্ভব নয়।

    বেশি ব্যবহারকারী: যেহেতু ওয়াইফাই ফ্রিকোয়েন্সি ওয়াইফাই থেকে অনেক বেশি, তাই এটি একসাথে অনেক ব্যবহারকারীকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে। ব্যবহারকারী বাড়লেও সংযোগের ত্রুটি দেখা যাবে না। ওয়াইফাইয়ের ক্ষেত্রে, যদি একজন ব্যবহারকারী বেশি ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে, অন্য ব্যবহারকারীর সংযোগ ধীরগতি সম্পন্ন হয়ে পরে।

    গতি: ওয়াইয়ের গতি ১৫০ এমবিপিএস এবং সেখানে  লা-ফাইয়ের গতি ১০ জিবিপিএস।

    খরচ: ওয়াই-ফাইয়ের খরচ মাঝারি কিন্তু লাই-ফাইয়ের খরচ কম।

    লি-ফাই প্রযুক্তির প্রয়োগ

    লি-ফাই রাউটার অ্যাপ্লিকেশনগুলি ওয়াই-ফাইয়ের চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য এবং তারবিহীন যোগাযোগের সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- * ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং সড়ক নিরাপত্তা।

    * চিকিৎসা * বিমান চলাচল * পানির নিচে যোগাযোগ * মার্জিত আলো * অন্ধদের জন্য ইন্ডোর ম্যাপ-রিডিং সিস্টেম

    * বিপজ্জনক পরিবেশ বা সংবেদনশীল এলাকায় পরিবহন * শিল্প এলাকায়।

    মন্তব্য করুন