বাতাসে বাড়ছে ‘বিষ’
শীত শুরুর পর থেকে বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়েছে। রাজধানী ঢাকা বাতাসে দূষণকারীদের পরিমাণ এত বেশি বেড়েছে যে এটি খুব অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে। এই ক্ষুদ্র ধূলিকণার উপস্থিতির কারণে রাজধানী সহ দেশের বড় বড় শহরগুলিতে বায়ু ইতিমধ্যে অস্বাস্থ্যকর থেকে চরম অস্বাস্থ্যকর পথে চলে গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে, দেশের বাতাসের গুণমান আরও খারাপ হতে পারে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি সংস্থা জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞরা তাই জরুরি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বাতাসের এ জাতীয় মানের কারণে বছরের এই সময়ে দেশে বিভিন্ন শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। ধুলো মিশ্রিত অস্বাস্থ্যকর বাতাস শ্বাসকষ্টের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে, যা শ্বাসনালী এবং ফুসফুসকে মারাত্মক ক্ষতি করে। করোনাভাইরাস চলমান পরিস্থিতিতে এই বায়ু আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে করোনভাইরাসটির প্রধান লক্ষ্য ফুসফুস। অতিরিক্ত বায়ু দূষণ সংযোজনের কারণে হাঁপানি, শ্বাসকষ্টজনিত রোগ সহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগগুলি চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) এরই মধ্যে সতর্ক করে দিয়েছে, যেসব শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি, তাদের করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে তৎপরতা জোরদার করতে হবে।
ঢাকা মহানগরীর দূষণের চিত্র তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুর মান ১৩১ পিএম ২.৫, গুলশানের বে’স এডজওয়াটারে ১২০, ঢাকার ইউএস এমবাসিতে ১১৭, বিটোপিতে ১১১, ওহাব বারিধারায় ১১১ ও বিটোপি গ্রুপে ৫৫। একই সময়ে সারাদেশের দূষণের চিত্র তুলে ধরে আইকিউ এয়ার বলছে, ঢাকায় বায়ুর মান ১১৬ পিএম ২.৫,
বায়ুদূষণ কমানোর উপায় জানাতে গিয়ে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুম লীয় দূষণ অধ্যয়নকেন্দ্রের (ক্যাপস) পরিচালক কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বায়ুদূষণ কমাতে হলে বড় ধরনের পরিকল্পনা বা উদ্যোগ নিতে হবে। এখন আমাদের দেশের প্রতিটি স্থানে সারা বছর উন্নয়নকাজ হয়। শীতকালে আরও বেশি হয়। কিন্তু বায়ুদূষণ কমাতে হলে একেকটা এলাকা ধরে উন্নয়নকাজ করতে হবে। প্রতিবছর কেন ফুটপাত ভাঙতে হয়, তা আমার বোধগম্য নয়।তিনি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও দূষণের একটি বড় কারণ। অনেক কাজ করার দরকার আছে তবে আমরা আজ অবধি এটি ঠিক করতে পারিনি। আবর্জনা এখনও সর্বত্র ফেলে দেওয়া হয়। এই অবস্থাটি কাটিয়ে উঠতে হবে।