অর্থনীতি

বাড়বে ভ্যাট, ভোগান্তিতে পড়বে ভোক্তারা

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাটের পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি নিত্য ব্যবহার্য কিছু পণ্যের ভ্যাটের হারও বাড়ানো হচ্ছে। ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে ভোক্তারা মূল্যবৃদ্ধির চাপে পড়বেন।

জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে অনেক পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। উৎপাদন থেকে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে ভ্যাটের হার হবে ১৫ শতাংশ। বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর ৩, ৫, ৭.৫, ১০ ও ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করে।

সূত্র জানায়, স্থানীয়ভাবে তৈরি কিছু ইলেকট্রনিক্স পণ্য বর্তমানে কর অব্যাহতি বা কর হার কমিয়েছে। আগামী বাজেটে এসবের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মুসাক বা ভ্যাট) বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে এনবিআর। এর মধ্যে রেফ্রিজারেটর, এসি, মোবাইল ফোন এবং এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের মতো পণ্য অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এ ছাড়া কিছু চিনিযুক্ত জুসের ওপর ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। জুস প্রস্তুতকারকদের বার্ষিক বিক্রয় বা টার্নওভারের উপর ন্যূনতম করের হারও বাড়তে পারে। এ ছাড়া সিগারেট, বিড়ি, জর্দা ও গুলের ওপরও ভ্যাটের চাপ আসছে। প্রতিটি সিগারেটের মূল্য স্তর নিম্ন থেকে উচ্চ মানের পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়বে।

বর্তমানে রেফ্রিজারেটরের জন্য প্রস্তুতকারক পর্যায়ে ভ্যাট হার ৫ শতাংশ, মূল্য সংযোজনের পরিমাণের ভিত্তিতে মোবাইল ফোনের জন্য ২ থেকে ৭.৫ শতাংশ এবং বিক্রয় স্তরে ৫ শতাংশ। রেফ্রিজারেটর ও মোবাইল হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে ভ্যাট বাড়ানো হতে পারে ২ শতাংশের বেশি। এলপিজি সিলিন্ডারে ভ্যাটও কিছুটা বাড়ানো হতে পারে।

অন্যদিকে তামাকজাত পণ্যের দাম ও সম্পূরক শুল্ক আরও বাড়তে পারে। বর্তমানে বাজারজাতকৃত সিগারেটগুলো মূল্যের ভিত্তিতে চারটি স্তরে বিভক্ত। এগুলি হল: নিম্ন, মাঝারি, উচ্চ এবং প্রিমিয়াম। লেভেল অনুযায়ী ১০টি সিগারেটের প্যাকেটের দাম ৪৫, ৬৭, ১১৩ ও ১৫০ টাকা। চারটি স্তরে সম্পূরক শুল্কের হার ৫৮ থেকে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত। জানা গেছে যে আগামী আর্থিক বছরে প্রতিটি স্তরের খুচরা মূল্য ৫ টাকা বাড়ানো হতে পারে। এছাড়া নির্দিষ্ট পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ১ থেকে ২ শতাংশ বাড়তে পারে।

অন্যদিকে মোবাইলে কথা বলার জন্য গ্রাহকদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। বর্তমানে একজন গ্রাহক তার মোবাইল ১০০ টাকা রিচার্জ করলে প্রায় ৮৩ টাকায় কথা বলতে পারবেন। বাকি ২৭ টাকা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক হিসেবে কেটে নেয় মোবাইল অপারেটররা। মোবাইল সেবার ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলে গ্রাহকরা ১০০ টাকায় ৭৮ টাকায় কথা বলতে পারবেন।