বাজারেচিত্র ।ঘোষণাতেই ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে
টিসিবি বিক্রি বন্ধের পরে ব্যবসায়ীরাও পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে
দেশটির পরিশোধন সংস্থাগুলি ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত নতুন দামের তেল পুরোপুরি বাজারের পর্যায়ে আসে নি। তবে দাম বাড়ার ঘোষণা শুনে ব্যবসায়ীরা সুযোগটি নিয়েনেয়; ইতিমধ্যে বাজারে তেলের দাম বাড়িয়েছে। বোতলের গায়ে সর্বাধিক খুচরা দামের চেয়ে তারা লিটারে আরও বেশি চার্জ নিচ্ছেন। তবে গ্রাহক সুরক্ষা আইনের আওতায় চার্জ করা দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মিরপুর -১, হাতিরপুল ও নিউ মার্কেট সহ বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীরা পাম অয়েলের দামও বাড়িয়েছেন। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে পাঁচ টাকা বেড়েছে এবং সয়াবিন ও পাম তেলের কেজিপ্রতি চার টাকা বেড়েছে।
বিক্রেতারা বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে, তবে নতুন কোনও তেল পাওয়া যায়নি। এক লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের গায়ে দাম লেখা ১৩৯ টাকা। তবে খুচরা বিক্রেতারা এই তেলটি ১৪৫ টাকায় বিক্রি করছেন। সয়াবিন তেল গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ১৩০ রুপিতে ১৩২ টাকায় ছিল। এখন এটি ১৩৫ থেকে ১৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাম সুপার তেলের দাম ছিল প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১২২ টাকা। গতকাল এটি ১২৫ থেকে ১২৭ টাকায় বিক্রি হয়।
মিরপুর -১ বাজারের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন এবং হাতিরপুলের ব্যবসায়ী আবু জাফর জানান, ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে পাইকারি বাজারে। এ কারণে গত কয়েকদিন ধরে খুচরা ভোজ্যতেল বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সংস্থাগুলি জানিয়েছে যে বোতলজাত তেলের দাম বাড়ানো হবে। নতুন তেলের দাম ১৪৫ টাকা করা হচ্ছে এর কারণে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে।
ইতিমধ্যে দেশে এখন পেঁয়াজ মৌসুম চলছে। মৌসুমের এই সময়ে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দামগুলি স্বাভাবিক ছিল। এ কারণে আপাতত টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। সংস্থাটি বিক্রি বন্ধ করার পরপরই ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়িয়েছে।
টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান বলেন, মৌসুমে যাতে পেঁয়াজের দাম কমে না যায় সেজন্য টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে যাতে কৃষকরা যুক্তিসঙ্গত দাম পেতে পারেন। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে বিক্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে অস্বাভাবিক করে তোলা হলে টিসিবি সেসব পণ্য বিক্রি করবে।
বিভাগের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা রাজধানীর বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় বিভাগের পরিচালক শামীম আল মামুন ও উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, আতিয়া সুলতানা সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট ও হাতিরপুল বাজারে পর্যবেক্ষণকালে মহাপরিচালক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
বাবুল কুমার সাহা জানান, করোনার মহামারী ও রমজানের সময় পণ্য বাজারে কোনও অস্থিরতা রোধে বিশেষ সেবা সপ্তাহ শুরু করা হয়েছে। যাতে প্রতিটি স্টোরের দামের তালিকা নিশ্চিত করা যায়। সঠিক দামের তালিকাটি দেখে যাতে গ্রাহকরা কেনাকাটা করতে পারেন।