• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়ন, ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস

    বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারের মধ্যে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রভাবশালী মিডিয়া আউটলেট জানিয়েছে যে শনিবার গঙ্গার জল বন্টন চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছে।

    তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে। তৃণমূল চুক্তি পুনর্নবীকরণকে পশ্চিমবঙ্গকে ‘বিক্রি করার পরিকল্পনা’ বলে বর্ণনা করেছে। একই সঙ্গে তিস্তা চুক্তির কথা স্মরণ করে দলটি বুঝিয়ে দেয় যে, রাষ্ট্রের হৃদয়ে রাষ্ট্রের স্বার্থকে এড়িয়ে যাওয়া সহজ হবে না।

    তৃণমূলের মতে, রাজ্য সরকারও ফারাক্কা-গঙ্গা চুক্তির পক্ষ। কিন্তু রাজ্য সরকারকে নবায়নের বিষয়ে জানানো হয়নি, যা খুবই খারাপ। এটাও বলা হয়েছে যে এই চুক্তির জন্য রাজ্য সরকারের বকেয়া পরিমাণও বকেয়া। বাংলায় বন্যা ও ভাঙনের প্রধান কারণ গঙ্গার ড্রেজিং বন্ধ হয়ে গেছে।

    ১৯৯৬ সালে ভারত-বাংলাদেশ গঙ্গার পানি নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারও এতে জড়িত। চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে। সেই কথা স্মরণ করে তৃণমূল বলছে যে ২০১৭ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও ফারাক্কা বাঁধের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেন, বাঁধ দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২২ সালে মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার কিছু অংশে গঙ্গা ভাঙার বিষয়ে মোদীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠির কথা উল্লেখ করে তৃণমূল বলেছে, দুই বছর আগে মমতাও বলেছিলেন, ফারাক্কা ব্যারেজের কারণে বাংলার একটা বড় এলাকা ভাঙনের মুখে পড়েছে। যার ফলে মানুষের আবাসস্থল যেমন চলে যাচ্ছে, তেমনি ক্ষতি হচ্ছে চাষাবাদেরও।