বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে বছরে ৩১ কোটি পাউন্ড কমবে
যুক্তরাজ্য সরকারের নতুন ট্যারিফ পলিসি ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিমের (ডিসিটিএস) আওতায় দেশটিতে বাংলাদেশি রপ্তানির বার্ষিক শুল্ক কমপক্ষে ৩১.৫ মিলিয়ন পাউন্ড কমানো হবে। জেনারেলাইজড স্কিম অফ প্রেফারেন্সের (জিএসপি) পরিবর্তে ডিসিটিএস গত জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে।
ঢাকায় যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার হাইকমিশনার সারা কুকের বাসায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, বেসরকারি খাতের নেতৃস্থানীয় উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন শুল্ক নীতিতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের সুবিধা ব্যাখ্যা করে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ডিসিটিএসের সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী দেশ। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় মুদ্রায় বাংলাদেশি পণ্যের বার্ষিক শুল্ক সাশ্রয় হবে ৩১.৫ মিলিয়ন যা রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
প্রসঙ্গত, আমদানি শুল্ক স্থানীয় আমদানিকারকদের বহন করতে হয়। তবে শুল্ক বেশি হলে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম বাড়ে। তখন রপ্তানিকারক দেশের পণ্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, এই সুবিধার আওতায় বাংলাদেশের পণ্যও জিএসপির তুলনায় রপ্তানি পণ্যের মূল নিয়মের শিথিল সুবিধা পাবে। একই সময়ে, ২০২৯ সাল পর্যন্ত, অস্ত্র ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করবে। এতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ রপ্তানি পণ্যের ৯৮ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত হবে।