বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর বিশাল কালো বাজার।বছরে ৩০০কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসা
বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য হ’ল বিশ্বের অন্যতম লাভজনক অপরাধগুলোর একটি। বাংলাদেশেও দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অবৈধ বাণিজ্যের কারণে এখন অনেক প্রজাতির বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে রয়েছে। বন্যপ্রাণী নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সিন্ডিকেট গঠন করা হয়েছে। কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে এর পিছনে ছুটছে একদল লোক। এই গোষ্ঠীতে সাধারণ মানুষ পাশাপাশি প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং পেশাদার প্রতারক রয়েছে।
বন্যপ্রাণীর বিশাল কালো বাজারে যেমন কোটি কোটি টাকা লোকসানের গল্প রয়েছে, তেমনি প্রাণি কেনার জন্য গভীর জঙ্গলে কিনতে গিয়ে খুনও হয়েছেন। বাংলাদেশকে রুট হিসাবে ব্যবহার করে বন্যপ্রাণী বিদেশ থেকে পাচার হওয়ারও ঘটনা রয়েছে। বিশ্বজুড়ে মিঠা পানির কচ্ছপ পাচারের বহু মিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়ের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ঢাকা দেশের সর্বোচ্চ বন্যপ্রাণীর বাণিজ্য রাজধানীতে ৩৩..৮ শতাংশ।
সারাদেশে সিন্ডিকেট: চোরাচালানকারীরা দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের পার্বত্য জেলা ও উপজেলাগুলিতে সক্রিয় ছিল। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কাঠবাদাম দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ওষুধের ‘সুবিধা’ পাওয়ার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তারপরেও সংগঠিতপ্রতারকরা নানা গুজব ছড়িয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
মঙ্গলবার বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদুয়ানি এলাকা থেকে এক কাঠবাদামসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর জামালপুরে র্যাব -১৪ দুটি কাঠবাদামসহ পাঁচ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। অক্টোবরে, নওগাঁর বাদলগাছিতে কাঠপাখি পাচারের অভিযোগে পুলিশ একটি উপ-পরিদর্শকসহ একটি সংগঠিত গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এভাবে প্রায় প্রতি মাসেই গ্রেপ্তার হচ্ছে
বাংলাদেশেও হাঙ্গর ব্যবসা চলছে। বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ সোসাইটি (ডাব্লুসিএস) বাংলাদেশ সূত্রে জানা গেছে, একমাত্র ২০১৬ সালে প্রায় ২৫০০০ কেজি হাঙ্গর ডানা রফতানি করা হয়েছিল। যদিও এর পরে কোনও আনুষ্ঠানিক তথ্য পাওয়া যায়নি, হাজার হাজার টন হাঙ্গর অবৈধভাবে চলে যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী বন্যপ্রাণী পাচারের বিষয়ে বিশেষ নজরদারি বা ‘ফোকাস’ রয়েছে এমন দেশগুলির তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র যুক্ত করে বাংলাদেশ। ডাব্লুসিএসের সমীক্ষা অনুসারে, ঢাকায় ৩৩.৮,শতাংশ , খুলনায় ৩১.৫ শতাংশ, ৯.০, শতাংশ ব্যবসা হয়