• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    বরগুনায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্যের গাড়ি বহরে ছাত্রলীগের হামলা

    বরগুনা-২ আসনের বিএনপি সমর্থিত সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম মনির গাড়ি বহরে হামলা করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ হামলায় নুরুল ইসলাম মনিসহ উপজেলা বিএনপির অর্ধ শতাধিক সদস্য আহত হয়েছেন।

    রোববার বিকেল ৪টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া সিএন্ডবি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

    এই দিনে দীর্ঘ ১৬ বছর পর বরগুনার পাথরঘাটায় ফিরছিলেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান জানান, তেল, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকা থেকে আসছেন সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি। তার কনভয় পাথরঘাটার সিএন্ডবি এলাকায় প্রবেশ করলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার কনভয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় নুরুল ইসলাম মনির গাড়ি ও শতাধিক মোটরসাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় তারা বিএনপির অন্তত অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে।

    এদিকে কাকচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে এমপি নুরুল ইসলাম মনিসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে ফাদি লুটপাট অস্ত্র মামলা দিয়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর তিনি এলাকায় আসেননি। ১৬ বছর পর পাথরঘাটায় আসেন। পাথরঘাটার জনগণ নিয়ে আওয়ামী লীগ তাকে প্রতিহত করে।

    তিনি আরও বলেন, নুরুল ইসলাম মনি বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে নানা অপমানজনক কথা বলেছেন।

    এদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পাথরঘাটা গোলচত্বরে এক পথসভায় নুরুল ইসলাম মনিকে যেকোনো মূল্যে পাথরঘাটা শহরে প্রবেশে বাধা দেওয়ার ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এ সময় তারা পাথরঘাটায় নুরুল ইসলাম মনিকে আমন্ত্রিত ঘোষণা করেন।

    পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার জানান, বিশৃঙ্খলা এড়াতে উপজেলাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উভয় গ্রুপকে কোনো কর্মসূচি না দিতে বলা হয়েছে।

    বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা (সার্কেল) মোঃ তোফায়েল আহমেদ জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমি যতদূর জানি, ইতিমধ্যে ১০-১২ জন আহত হয়েছে এবং ৩০/৩৫টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

    মন্তব্য করুন