বছরের শুরুতে শ্রণিকক্ষে ক্লাস পুরোপুরি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী বছরের শুরুতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান সম্ভব না হলেও এ বছরের তুলনায় তা বাড়ানো হবে। আমরা সব শিক্ষার্থীকে টিকারের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতির উন্নতি হলে সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হবে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁদপুর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ৬ মাস দেরিতে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী বছর সমন্বয় করা হবে। চিন্তার কোন কারণ নেই।
“আমরা এই পাবলিক পরীক্ষাগুলি এমন এক সময়ে নিচ্ছি যখন বিশ্বে মহামারী চলছে, যার কারণে মানুষের জীবন-জীবিকা স্থবির হয়ে পড়েছে,” প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেশের এই করোনা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তারা যেভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে তার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সবাইকে ধন্যবাদ।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখনই পরীক্ষা নিতে দেরি করার সমন্বয় করব। কেউ কষ্ট পাবে না। তবে আগামী বছরের পরীক্ষা যথাসময়ে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে এ বছরের মতো দেরি হবে না।
পরে মন্ত্রী চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর আল আমিন স্কুল অ্যান্ড কলেজে (ছাত্র শাখা) ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম পাটোয়ারী দুলাল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী প্রমুখ।