বঙ্গোপসাগরে ২২টি ট্রলার ডুবে, ১১ জেলে নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে ২২টি মাছ ধরার ট্রলার। এ ঘটনায় তিন জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অন্তত ১১ জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে দুবলার চরের কাছে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারটি ডুবে যায় বলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে কোস্টগার্ড, বন বিভাগ ও জেলেরা।
এছাড়া টানা বর্ষণে দুবলার পাটির চরের প্রায় আড়াই কোটি টাকার শুকনো জমি নষ্ট হয়ে গেছে।
দুবলার আলোরকোল জলেপল্লীর রামপাল বেল্টের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের শেখ জানান, শুক্রবার রাতে হঠাৎ দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়। এ সময় আলোরকোলের শতাধিক ফিশিং ট্রলারের মধ্যে ১৮টি সাগরে ডুবে যায়। এসব ট্রলারের ১৫৪ জন জেলে অন্য ট্রলারে উঠতে সক্ষম হলেও তিন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার সকালে কোস্টগার্ড, বন বিভাগ ও জেলেরা তিনজনকে উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত জেলেরা হলেন- বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গিলাতলা গ্রামের মো. শাহিন, বকুলতলা গ্রামের মফিজুল ও ইসলামাবাদ গ্রামের মো. মোতাছির।
জলেপল্লীর মাঝখানের দুর্গরক্ষক বাহাদুর জাহিদ হোসেন জানান, ঝড়ে তাদের মাছ শুকানোর তালা ও জেলেদের অস্থায়ী ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে।
জেলে জাকির সরদার জানান, বঙ্গোপসাগরের শেলার আইলে তুসখালীর হারুন মুন্সির একটি ট্রলার ও মঠবাড়িয়া উপজেলার বাগেরহাটের একটি ইলিশ ডুবে গেছে। দুই ট্রলার থেকে তার ভাই আলমগীর সরদারসহ তিন জেলে নিখোঁজ রয়েছে। সকালে দুটি ট্রলার অন্য ট্রলারে টেনে বন বিভাগের দুবলা কার্যালয়ের কাছে ভেদখালী খালে নিয়ে আসা হয় বলে জানান জাকির সরদার।
বাগেরহাট মৎস্য ভান্ডার সমিতির সহ-সভাপতি আ.মান্নান ব্যাপারী জানান, দুবলার আলোরকোল পশ্চিম সাগর কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের আনিছ মিয়া এফবি মায়ের দোয়া ও একই এলাকার মো. ইলিয়াস মিয়ার মাছ ধরার ট্রলার ডুবে আট জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
বন বিভাগের দুবলা জলেপল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহমদ চন্দ্র রায় জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে আলোরকোলে ১৮টি ট্রলার ডুবির পর তিন জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ ১১ জেলে ও বাকি ট্রলারকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া দুবলার আলোরকোল, মেহেরালী, মাঝের কিল্লা, নারিকেলবাড়িয়া ও শেলারচর জলেপল্লীতে অবিরাম বর্ষণে প্রায় আড়াই কোটি টাকার শুকনো জমি নষ্ট হয়েছে।