• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের গুলিতে জেলে নিহত

    বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার বহরে ডাকাতির সময় জলদস্যুদের গুলিতে পাথরঘাটার জেলে মুসা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৬৩ জেলে।

    মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে গঙ্গার ধারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে মুছার মরদেহ পাথরঘাটায় আনা হয়। মুসা পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামের হারুন হাওলাদারের ছেলে।

    পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    এফবি বাবুল ট্রলারের মালিক ও মালিক বাবুল মিয়া জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে চারটি ট্রলারে একসঙ্গে সাগরে জাল ফেলতে যাচ্ছিলেন তারা। এ সময় ২০/২৫ জনের একটি জলদস্যু বাহিনী একটি লাল ট্রলারে এসে অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে এবং লাঠিসোঁটা ও লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় চারটি ট্রলারের ৬৩ জেলে আহত হন। জলদস্যুরা ট্রলারের সরঞ্জামসহ মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় জেলের মাথায় বন্দুক দিয়ে গুলি করে। আহত জেলেদের পাথরঘাটা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

    ছিনতাই হওয়া ট্রলারগুলো হলো এফবি আনোয়ার, এফবি বাবুল, এফবি মায়ের দোয়া ও এফবি সেভেন স্টার। জেলেরা জানান, সাতক্ষীরা জেলায় ভারতীয় জলদস্যুদের সঙ্গে কিছু জলদস্যু রয়েছে।

    মুসার বাবা হারুন মিয়া অভিযোগ করেন, তার ছেলে জলদস্যুদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর তিনি কোনো আইনি সহায়তা পাননি। আমার ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে পাথরঘাটা থানায় গেলে ওসি বলেন, আমার এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। আমি কিছু করতে পারি না. মংলা থানার ওসি বলেন, পাথরঘাটা থানার মামলা এই থানায় হবে না। তাদের এমন কথার পর আমি কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই আমার ছেলের লাশ দাফনের ব্যবস্থা করছি।

    পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার বলেন, যে থানায় এ ঘটনা ঘটেছে সেটি থানার নিয়ম। তবে সমুদ্রে কোনো সীমানা নির্ধারণ না থাকায় এসব সমস্যা হচ্ছে।

    মন্তব্য করুন