বঙ্গবাজারে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করছে সিআইডি
রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সংলগ্ন বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করছে সিআইডি। বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ সময় সিআইডির এসএসপি (ডিএমপি দক্ষিণ) আনিসুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত আগুন লাগার কোনো কারণ খুঁজে পাইনি।
তিনি বলেন, বড় কোনো ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে আমরা মাঠে আছি। নগদ টাকা, টালি খাতা বাঁচানো যায়নি।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, হতাহতদের তালিকা প্রণয়ন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে মঙ্গলবার আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসন অনিশ্চয়তা, আগুনের আশঙ্কায় ছিলেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মীরা কাজ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমান বাহিনীর দুটি বেল-২১২ এবং দুটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার নজরদারি মিশনও অংশ নেয়। এ ছাড়া পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসাররা সেখানে দায়িত্ব পালন করে। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো সংস্থাই আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেনি। তদন্ত শেষে তারা এ বিষয়ে মতামত দেবেন। তবে কয়েকজন ব্যবসায়ীর দাবি, বঙ্গবাজারের ১০ ফুট গলি থেকে আগুনের সূত্রপাত।
ব্যবসায়ীরা জানান, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে চারটি মার্কেট রয়েছে। সেগুলো হলো বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেট। কাঠ ও টিনের তৈরি এসব মার্কেটের তিনতলা রয়েছে। প্রায় তিন হাজার দোকান রয়েছে। এর পুরোটাই পুড়ে গেছে। বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স সংলগ্ন এনেক্সকো টাওয়ার মার্কেটের সাততলার একাধিক তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর দক্ষিণ দিকে রয়েছে মহানগর কমপ্লেক্স। দোতলা এই মার্কেট টিন দিয়ে তৈরি। সেই বাজারও ছাই হয়ে গেছে। এ ছাড়া বঙ্গবাজারের বিপরীত পাশে চারতলা বঙ্গ ইসলামিয়া ও সাততলা বরিশাল প্লাজা নামে আরও দুটি মার্কেটের একাধিক তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে আটটি মার্কেটের পাঁচ হাজারের বেশি দোকানপাট ও গুদাম ধ্বংস হয়েছে।