বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর: দুই মাদ্রাসার শিক্ষক জবানবন্দি দিয়েছেন
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামির মধ্যে মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন শনিবার বিকেলে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে এই দুই শিক্ষককে চার দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। পরে দুপুর ২ টায় শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফ আলীকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক নিশি কান্ত সরকার আদালতে নিয়ে যান।
রবিবার মামলার প্রধান আসামিদের মধ্যে মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থী ১৬৪ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিতে পারবেন বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুপুর দুইটার দিকে কড়া পুলিশ পাহারার অধীনে দুই মাদ্রাসা শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফ আলীকে আদালতে নিয়ে যান। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন প্রথমে ইউসুফ আলীর তার চেম্বারে জবানবন্দি নেন। ঘন্টাব্যাপী এই বক্তব্যের পরে আল-আমিনের বক্তব্যও আলাদাভাবে নেওয়া হয়েছে। বিকাল ৫ টার দিকে জবানবন্দি নেওয়ার পরে তাদের কড়া পুলিশ পাহারায় প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের মামলায় পুলিশ ২৩ ডিসেম্বর এই দুই শিক্ষকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল।
৪ ডিসেম্বর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্য কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে ভাঙচুর করা হয়েছিল। পরদিন কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।