বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।এবার প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভের চেষ্টা
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষে ঝাড়ু দিতে অভিভাবকদের বাধ্য করার ঘটনায় বিচারকের বদলির ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার স্কুলের সামনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা স্থগিত করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুনের দায়িত্বহীনতার কারণে অভিভাবকরা হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। বিচারকের পা ধরে অভিভাবকদের হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হলে জেলা প্রশাসন তাদের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেয়। তারা শান্ত হল।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক বিচারককে বেশি গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের লাঞ্ছিত করেছেন। বিচারকের কথা না মানলে ছাত্রদের টিসি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ারও হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক। গতকাল শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের উদ্যোগ নিলে প্রধান শিক্ষক তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তারা শান্ত না হলে বিষয়টি জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামকে জানাবেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সেখানে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন। তিনি ছাত্রদের স্কুলের ভিতরে নিয়ে গিয়ে কথা বলে শান্ত করেন।
দুই ছাত্রীর মাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ২১ মার্চ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এই স্কুলে পড়ত রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ে। শিক্ষার্থীরা স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী ক্লাসরুম পরিষ্কার করে। একদিন বিচারক কন্যার ক্লাসরুম ঝাড়ু দেওয়ার কথা ছিল। যাইহোক, সে নিজেকে বিচারকের মেয়ে পরিচয় দিয়ে ক্লাসরুম ঝাড়ু দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রুবাইয়া ইয়াসমিন প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুনকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে ডাকতে বলেন। রুবাইয়া সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জেলের হুমকি দেন। এ সময় দুই অভিভাবক তার পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন। এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি গণমাধ্যমে এলে ২৩ মার্চ ওই বিচারপতির বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট তাকে বদলি করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।