ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৯৮টি গ্রাম প্লাবিত
গত বছরের বন্যার ক্ষয়ক্ষতি এখনও না শুকিয়ে ফেনীর বাসিন্দারা আবারও বন্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। এবার ভয়াবহ বন্যার কারণে ফুলগাজী-পরশুরামের মানুষ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মুহুরী, কাহুয়া এবং সিলোনিয়া নদীর পানিতে আরও বেশ কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে। প্রায় একশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মুহুরী নদীর পানির স্তর এখনও বিপদসীমার নীচে রয়েছে। কাহুয়া এবং সিলোনিয়া নদীর পানির স্তরও কমেছে। তবে ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে পানি এলাকায় প্রবেশ করছে। সব মিলিয়ে জানা গেছে যে কমপক্ষে ২১টি ভাঙন কবলিত বাঁধ দিয়ে পানি এলাকায় প্রবেশ করছে। যমুনা টিভির এই প্রতিবেদক বন্যা কবলিত স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছেন। তারা আর ত্রাণ বা সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করতে চান না। স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন উল্লেখ করে স্থানীয়রা দাবি করেন যে বন্যা মোকাবেলায় ৭,৩৪০ কোটি টাকার প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হোক। তাহলে তারা আশা করেন যে এই অভিশাপ থেকে স্থায়ী মুক্তি মিলবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে যে আজও কিছু জায়গায় নদীর পানি বাঁধের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ফুলগাজীতে ৬৭টি, পরশুরামে ২৭টি এবং ছাগলনাইয়ায় ৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেক দোকানপাট ও ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। ফেনী-পরশুরাম সড়কে যান চলাচল এখনও বন্ধ রয়েছে। বল্লমুখায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর বাংলাদেশের দিকে পানি প্রবেশ করছে। ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে ১৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার পাঠানো হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে অনেক মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

