• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    ফুটপাত থেকে কেনাকাটা।ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে

    ঈদ আর দুই সপ্তাহ বাকি। এরই মধ্যে ক্রেতারা তাদের কেনাকাটা সেরে ফেলেছেন বাজারে। ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে উচ্চমানের খুচরা পর্যন্ত; এখন প্রায় প্রতিদিনই সর্বত্র মানুষের ভিড় দেখা যায়। কাপড়-চোপড়সহ প্রায় সব জিনিসের দাম বাড়লেও মানুষ সাধ্যমতো পছন্দের পণ্য কেনার চেষ্টা করছে। যা ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। তারা বলছেন, এরই মধ্যে অনেকে  গত মাসের বেতন পেয়েছেন। কেউ কেউ ঈদ বোনাস পাওয়ার অপেক্ষায়। সব অফিসে বেতন-বোনাস হয়ে গেলে কেনাকাটা বাড়বে বলে আশাবাদী তারা।

    গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমলগুলোতে ভিড় ঠেলে পছন্দের পোশাক কিনে আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন ক্রেতারা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মৌচাক, শান্তিনগর, নিউমার্কেট, বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্ক ও রাজধানী সুপার মার্কেটে ভিড় লেগেই ছিল। গুলিস্তান, নিউমার্কেট, চাঁদনীচক, গাউছিয়া, বেইলি রোড, এলিফ্যান্ট রোড, হকার্স মার্কেটের সামনের ফুটপাথ থেকে শুরু করে মূল দোকানের ভেতর পর্যন্ত কোথাও পা রাখার জায়গা নেই। মানুষের চাপের কারণে শুক্রবার জুমার নামাজের পর নিউমার্কেট এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ইফতারের পর ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে যায়। এখন থেকে প্রতিদিনই ভিড় বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

    রমজান শেষে বাজারে ভিড় বাড়ে এবং বাড়িতে যাওয়ার জন্য ভিড় থাকে। বেতন পাওয়া মাত্রই মানুষ কেনাকাটা শেষ করতে ছুটে যায়। পোশাক কারখানাগুলো তাদের বেতন পরিশোধ করতে শুরু করেছে। মানুষের মধ্যে কেনাকাটার এই মেজাজ চাঁদ রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

    বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের আনিসা ফ্যাশন লিডার মো. রাব্বি বলেন, গত কয়েকদিনের পরিস্থিতি দেখে হতাশ হয়েছি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে এবার রমজানের শুরুতে বিক্রি হয়নি। তবে তৃতীয় শুক্রবার ভালো বিক্রি হয়েছে। এবার মেয়েদের ফ্যাশন ট্রেন্ড সাদাবাহার আগানুর বিনসাইড গাউন ও নাইরা। এগুলোর দাম চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় বিক্রি তুলনামূলক কম।

     

    মন্তব্য করুন