• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    ফরিদপুরে জোড়া খুন: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    ফরিদপুরের নগরকান্দায় মধ্যকাইচাইল মাদ্রাসা মসজিদে চাচা রওশন আলী ও ভাতিজা মিরাজুল ইসলামকে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

    রোববার ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেসমিন আরা এ রায় ঘোষণা করেন।

    এ মামলায় চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হানিফ ওরফে হৃদয়, কাইয়ুম মিয়া ও এনামুল হাসান মিয়া। মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও তাদের এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায়ে আসামি আউয়াল মোল্লা ও রেজাউল মাতুব্বরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

    খালাসপ্রাপ্তরা হলেন পারভেজ মিয়া, হাফিজুর রহমান ওরফে তুষার মিয়া, তুহিন মিয়া, রবিউল ইসলাম ওরফে মশিউর মিয়া, এম রাজু আহমদ ওরফে কোরবান মিয়া ও শহিদুল ইসলাম ওরফে শহীদ মিয়া।

    রায়ে আসামি দুলাল মিয়াকে দুটি ধারায় যথাক্রমে ১০ বছর ও সাত বছর করে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় বাক্যই একই সাথে চলবে। এ ছাড়া দুটি ধারায় মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামি হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব মিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস জেল খাটতে হবে। আসামি রিকুল ইসলাম ওরফে রবিন শিকদারকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামি পাঁচু মিয়াকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

    এর আগে ১৩ আগস্ট উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। ওই দিন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক অসুস্থ থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক আলী হোসেন রায় ঘোষণার জন্য ২০ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

    ১০ আগস্ট, ২০১৯, রওশন আলী এবং মিরাজুল ইসলাম তুহিন এবং অন্যরা নগরকান্দার মধ্যকাইচাইল মাদ্রাসা মসজিদে আসরের নামাজের পরে মাদ্রাসা মাঠে আসেন। সেখানে আসামি আউয়াল মোল্লা ও হানিফ মিয়া ওরফে হৃদয়সহ আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়। আসামি আউয়াল মোল্লার নির্দেশে আসামি হানিফ মিয়া ওরফে হৃদয়সহ আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও শর্টগান দিয়ে গুলি চালায়। এতে রওশন আলী ও মিরাজুল ইসলাম তুহিন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুলিতে গোলাম রসুল বিপ্লব, গোলাম মাওলাসহ সাত-আটজন গুরুতর আহত হন।

    এ ঘটনায় নগরকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২২ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পিবিআই। এরপর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ পাঠানো হয়। পরে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এ স্থানান্তর করা হয়। মামলার শুনানি চলাকালে আদালত ৩৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।