প্রাণ ফিরল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।আনন্দে আত্নহারা খুদে শিক্ষার্থীরা
প্রায় দেড় মাস পর প্রাণ ফিরেছে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে দ্বিতীয় দফায় ২১ জানুয়ারি থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সংক্রমণ কমে গেলে, ২২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক স্তর থেকে সমস্ত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করা হয়েছিল। তবে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। অবশেষে গতকাল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও খুলেছে। অনেকদিন পর সহপাঠীদের কাছে পেয়ে আনন্দে মেতে ওঠে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। তারা মাস্ক পরে স্কুলে আসেন। তাদের অনেককেই রেগে গিয়ে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মাথায় রাখতে হবে। বেশ কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রথম দিনের ক্লাসে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন। শহরের পশ্চিমে গোসাইলডাঙ্গা সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মল্লিকা বড়ুয়া জানান, প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। প্রাক-প্রাথমিক ছাড়া সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অংশ নেয়। সবাই মাস্ক পরে ক্লাস নেন।
এদিকে রুটিন অনুযায়ী এখন প্রতিদিনই সব শ্রেণির ক্লাস হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণ কমার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও দুই শিফটে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। যদিও প্রাক-প্রাথমিক ক্লাস বন্ধ। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস কার্যক্রমও ২০ মার্চ শুরু হতে পারে, জেলা শিক্ষা প্রাথমিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। অন্যদিকে গতকাল থেকে কলেজের একাদশ শ্রেণির ক্লাসও শুরু হয়েছে। নতুন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে কলেজ ক্যাম্পাস। নতুন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। অধিকাংশ কলেজেই শিক্ষার্থী গ্রহণ করতে দেখা যায়। কিছু কলেজে শিক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।