• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    প্রসব-পূর্ব যত্নের অভাবে অকাল শিশুর জন্ম হয়

    বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩.২ লাখ নবজাতকের জন্ম হয়। তবে মানসম্মত প্রসবপূর্ব পরিচর্যার অভাবে তাদের মধ্যে ৬ লাখেরও বেশি সময়ের আগে জন্ম নেয়। এছাড়াও, মৃত নবজাতকের ৫৫.৪ শতাংশ অপরিণত, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি এবং উদ্বেগজনক।

    মঙ্গলবার রাজধানীর আইসিডিডিআর, বীর সাসাকাওয়া মিলনায়তনে ‘দ্য ল্যানসেট সিরিজ’-এর আঞ্চলিক উদ্বোধন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। তবে গর্ভাবস্থার আগে ও গর্ভাবস্থায় মায়ের সঠিক যত্ন নিলে এসব সমস্যা এড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন তারা।

    সংবাদ সম্মেলনে অবস্টেট্রিকাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সাবেক সভাপতি ডা. সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘প্রসবপূর্ব পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মায়ের কম ওজনের প্রভাব গর্ভে থাকা সন্তানের ওপর পড়ে।

    গুণগত প্রসবপূর্ব যত্নের অর্থ হল একজন প্রশিক্ষিত চিকিত্সক অন্তত একবার ভ্রূণকে দেখতে পাবেন। তার ওজন, উচ্চ রক্তচাপ, রক্ত, প্রস্রাব পরীক্ষা এবং গর্ভাবস্থার কাউন্সেলিং হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করুন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুসারে, একজন গর্ভবতী মহিলার প্রসবের আগে কমপক্ষে 8টি প্রসবপূর্ব পরিচর্যা সেশনে উপস্থিত হওয়া উচিত। তবে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ ৪ বার প্রসবপূর্ব পরিচর্যায় আসার ওপর জোর দিচ্ছে।

    ডাঃ সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে ৮৮ শতাংশ গর্ভবতী নারী এক এবং ৪১ শতাংশ চারটি প্রসবপূর্ব সেবা পাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা অনেক পিছিয়ে।

    প্রেস কনফারেন্সে বলা হয়, ল্যানসেট সিরিজ প্রিটার্ম এবং কম ওজনের শিশুদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও অগ্রগতি দেখিয়েছে।

    পর্যাপ্ত নয় গ্লোবাল নিউট্রিশন টার্গেটের অধীনে, ২০১২ সালের বেসলাইন থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে কম জন্ম ওজনের শিশুদের হার ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য কাজ চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত হ্রাসের মাত্রা বছরে মাত্র ০.৫৯ শতাংশ।

    সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলিস্ট হিসেবে দ্য ল্যানসেট এসভিএন সিরিজের প্রধান লেখক, ফিনল্যান্ডের টেম্পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু-কিশোর বিভাগের সেন্টারের অধ্যাপক ড. পার অ্যাশর্ন, বাংলাদেশ পেরিনিটাল সোসাইটির (বিপিএস) মহাসচিব এবং ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য নবজাতক স্বাস্থ্য (এনটিডব্লিউসি-এনবিএইচ) অধ্যাপক আবদুল মান্নানসহ অন্যান্যরা অংশ নেন।