প্রধানমন্ত্রী আসছেন, তাই ‘সুঞ্জর’।
পতেঙ্গা-বারিক বিল্ডিং সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হচ্ছে আজ থেকে ১৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে
নগরীর জরাজীর্ণ প্রধান সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পতেঙ্গা থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এশিয়ান হাইওয়ের সংস্কার কাজ আজ থেকে শুরু হচ্ছে। এর জন্য সিডিএ খরচ করবে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দর থেকে পোলোগ্রাউন্ড ময়দান পর্যন্ত সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী করতে দিনরাত কাজ করা হবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের এক মাস আগে সড়কটি নির্মিত হলেও ততদিন টিকে থাকবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নগরীতে গতিশীলতাসহ বহুমুখী লক্ষ্যে সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে লালখান বাজার-পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। লালখান বাজারে পূর্বে নির্মিত আকতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের সাথে পতেঙ্গা থেকে এক্সপ্রেসওয়েকে সংযুক্ত করে বহদ্দারহাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি চট্টগ্রামের যান চলাচলে বৈপ্লবিক গতিশীলতা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা যায়। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদনের পর প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। সম্পূর্ণ প্রকল্পটি পাঁচটি পৃথক পর্বে বিভক্ত এবং নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সড়কে ফ্লাইওভার নির্মাণের সময় নগরীর পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা। বিশেষ করে পতেঙ্গা থেকে কাঠগড়, সিমেন্ট ক্রসিং, ইপিজেড, সল্টগোলা ক্রসিং ও বারিক বিল্ডিং এলাকায় সড়কের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। পতেঙ্গা থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকায় অনেক স্থানে সড়কের পাশে ড্রেন না থাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে হাজারো গর্ত। রাস্তার অনেক জায়গা ধানক্ষেতের মতো। ফৌজদারহাট-পতেঙ্গা রিং রোডের কারণে অনেকেই বিকল্প সড়ক ব্যবহার করলেও পতেঙ্গা থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত এলাকার হাজার হাজার মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন। এলাকাবাসী বিভিন্নভাবে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানালেও বর্ষা মৌসুমসহ নানা কারণে সড়কটি সংস্কার করা হয়নি।
অবশেষে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হচ্ছে। আজ থেকে এই রাস্তায় পিচ ঢালা হবে। রাস্তার দুই পাশে কার্পেটিং করা হবে। মোট ৬০ ফুট জায়গার একপাশে ৩০ ফুট পিচ ঢালাই করে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা হবে। এতে অন্তত ১৫ কোটি টাকা খরচ হবে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে। গতকাল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সিডিএ’র একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন। মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সফর করবেন। তিনি পতেঙ্গা এলাকা থেকে সড়কপথে পলো গ্রাউন্ডে এসে জনসভায় ভাষণ দেবেন। তাই তিনি পতেঙ্গা থেকে পোলোগ্রাউন্ড পর্যন্ত সড়কটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের উপযোগী করার জন্য সিডিএ প্রকৌশলীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, আজ থেকে সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হচ্ছে। আমরা জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রাস্তার দুই পাশে ওয়েল্ডিং করব। একদিকে ত্রিশ ফুট এবং দুই পাশে অন্তত ৬০ ফুট রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।