প্রধানমন্ত্রীর জনসভা : নতুন রূপে সেজেছে কক্সবাজার
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আগামীকাল বুধবার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক জনসভায় ভাষণ দেবেন। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ এ আয়োজন করে।
সমাবেশ সফল করতে এক মাস ধরে চলছে প্রস্তুতি। শহর সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। এই জনসভাকে স্মরণসভায় পরিণত করতে নেতাকর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। জনসভাকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যানার-ফেস্টুন আর তোরণের নগরীতে পরিণত হয়েছে কক্সবাজার।
এদিকে এক সপ্তাহ আগে থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। কক্সবাজারে পাঁচ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দলটির নেতারা বলছেন, সাড়ে পাঁচ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটন নগরীর উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন। উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া শহরে আবার আসছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালের ৬ মে এসে কক্সবাজারকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। এর আলোকে ৩ লাখ কোটি টাকার ৪০টি মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এবার তিনি ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। একই সঙ্গে চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। এর আগে সকালে কক্সবাজার ইনানীতে চার দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ (আইএফআর)-২০২২ উদ্বোধন করবেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌর মেয়র মজিবুর রহমান বলেন, এবারের প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কক্সবাজারবাসীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এখানে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষের সমাগম হবে। শুধু স্টেডিয়াম নয়, গোটা শহর পরিণত হবে জনসমুদ্রে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জানিয়েছে, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২৮টি দেশের নৌবাহিনীর অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো ফ্লিট রিভিউয়ের আয়োজন করা হচ্ছে। এতে বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশের ৪৩টি যুদ্ধজাহাজ, দুটি বিএনএমপিএ, চারটি বিএন হেলিকপ্টার অংশগ্রহণ করবে।
‘সীমান্তের বাইরে বন্ধুত্ব’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের আন্তর্জাতিক নৌবহর পর্যালোচনা কক্সবাজারকে বিশ্বের কাছে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত করতে নৌবাহিনীর একটি উদ্যোগ।