প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ যুবদল কর্মী
রাজবাড়ীর পানশায় হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ থেকে ফেরার পথে যুবদল কর্মী মনিরুল বিশ্বাস গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মনিরুল পাংশা উপজেলার পাত্রা গ্রামের আব্বাস বিশ্বাসের ছেলে। তাকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পাংশা উপজেলা যুবদলের নেতা ও জিয়া সাইবার ফোর্স কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ফরহাদ হোসেন সোহাগকে পাংশা যাওয়ার পথে পাট্টার গোলাবাড়ী নামক স্থানে মোটরসাইকেল থামিয়ে নির্বিচারে মারধর শুরু করে। লাঠি, ঘুষি ও লোহার রড দিয়ে। পরে হামলাকারীরা তার পায়ের রগ কাটতে গিয়ে তার পকেট থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় তার শ্যালক কাউসার হোসেন এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার হুমকি দেয়।
আহত ফরহাদ হোসেন সোহাগ জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে হামলা করা হয়েছে। হামলাকারীরা মূলত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও এখন বিএনপির নাম কলঙ্কিত করছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, লুটপাট, জোরপূর্বক বাধা দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার তার ওপর হামলা হয়।
এ হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে পাংশার পাত্তার জায়গীরের নোটুন বাজার চত্বরে ইউনিয়ন যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম মুরাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পাংশা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, কালুখালী উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আনিস মোল্লা, জেলা ছাত্রদল নেতা মো: সজিব রাজা প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে যুবদল নেতা ফরহাদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন ইউনিয়ন যুবদল ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে যুবদল নেতা ফরহাদের ওপর হামলার ঘটনায় পাংশা মডেল থানা ও আর্মি ক্যাম্পে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ইউনিয়ন যুবদল কর্মী মনিরুল বিশ্বাস গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Do Follow: greenbanglaonline24