• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    প্যাকেটজাত চিনি ও ডালের দাম নির্ধারণের সুপারিশ

    গত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে মসুর ডালের দাম বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ। উল্টো দেশের বাজার অনেক বেড়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধি প্রায় ৪০ শতাংশ। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে আরও একটি নিত্যপণ্য চিনির দাম কমেছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। কিন্তু দেশে পণ্যটির দাম বেড়েছে ২৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। দেশে চিনির চাহিদার প্রায় পুরোটাই নির্ভর করে আমদানির ওপর। আর বেশির ভাগ ডালও আমদানি করা হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় দেশীয় বাজারে উভয় পণ্যের দামই অস্বাভাবিকভাবে বেশি।

    অন্যদিকে প্যাকেটজাত ডাল ও চিনি খোলা চিনি ও ডালের চেয়ে তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্যাকেটজাত চিনি ও ডালের দাম নির্ধারণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন। পণ্য কমিশনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয়েছে।

    বর্তমানে দেশে চিনি ও মসুর ডাল খোলার পাশাপাশি প্যাকেটেও বিক্রি হচ্ছে। কমিশন জানায়, ব্যবসায়ীরা খোলা চিনি ও ডাল প্যাকেটে বেশি দামে বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফা করলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভোক্তারা। তাই পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি উভয় খরচের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।

    বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয় ছোট দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। এ ছাড়া মাঝারি দানার ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা এবং আমদানি করা বড় দানার ডাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। তবে প্যাকেটজাত ডালের ক্ষেত্রে দাম একটু বেশি। কমিশন জানায়, প্যাকেটজাত ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে আমদানি করা খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৮ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। তবে বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত চিনি কিনতে দাম পড়ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়া দেশি লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০ টাকায়।

    ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ববাজারে প্রতি টন কাঁচা চিনির দাম প্রায় ৪০৫ ডলার এবং মসুর ডালের দাম ৫৩৪ ডলার। বর্তমানে দেশে বছরে প্রায় পাঁচ লাখ টন মসুর ডালের প্রয়োজন হয়। স্থানীয়ভাবে ২০০.০০০ টনের একটু বেশি উত্পাদিত হয়। বাকি ৩০০.০০০ টনের বেশি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ভারত সহ কয়েকটি দেশ থেকে আমদানি করা হয়। দেশে বছরে ২ মিলিয়ন টন চিনির চাহিদা রয়েছে। উৎপাদন ৪০ হাজার টনের মতো। চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়।

    এসব পণ্য বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, চিনি বা ডাল প্যাক করতে খরচ হয় চার থেকে পাঁচ টাকা। এর বাইরে পণ্যের প্রচার বা ব্র্যান্ডেড হতে হবে। প্যাকেটজাত করে ডিলারদের কাছে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত প্রতি কেজি চিনির জন্য অতিরিক্ত ছয় থেকে সাত টাকা খরচ হয়।

    মেঘনা গ্রুপের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার তসলিম শাহরিয়ার বলেন, পণ্যটি প্যাকেজিং, ব্র্যান্ডেড এবং ডিলারদের মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত প্যাকেজড চিনির প্রতি কেজি অতিরিক্ত ৭ থেকে ৮ টাকা বেশি খরচ হয়। এ কারণে খোলা চিনির চেয়ে প্যাকেটজাত চিনির দাম কিছুটা বেশি।

    মন্তব্য করুন