পুলিশ হেফাজতে নারীর আত্মহত্যা

কুমিল্লায় পুলিশ হেফাজতে এক নারী সিলিং ফ্যানের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতে হোমনা থানার ভেতরে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হামিদা আক্তার ববিতা (৩২) হোমনা উপজেলার ঘনিরচর গ্রামের বাসিন্দা খলিল মিয়ার স্ত্রী। হোমনা থানার ওসি মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খলিল মিয়ার দুই স্ত্রী হলেন হামিদা আক্তার এবং কোহিনুর আক্তার। গতকাল বুধবার দুপুরে দুই সতীনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে হামিদা বড় সতীন কোহিনুরের উপর ছুরি দিয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা করে, কিন্তু তার ছেলে সায়মন (১২) তার মাকে বাঁচাতে যায়। এরপর হামিদা তার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে এবং তার নাড়ি এবং নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলে।
এ সময় কোহিনুর আক্তারের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে আহত সাইমনকে উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান। অন্যদিকে, স্থানীয়রা হামিদাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামিদাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে এবং একটি কক্ষে রাখে।
পরে, রাতে সুযোগ বুঝে গ্রেপ্তার হামিদা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। এদিকে, স্থানীয়রা জিজ্ঞাসা করছে কেন অভিযুক্তকে আটক না করে আলাদা কক্ষে রাখা হয়েছিল? সর্বত্র এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। হোমনা থানার ওসি মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চৌধুরীর কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আসছেন, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।