জাতীয়

পিলখানা ট্র্যাজেডির একযুগ আজ

পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর তিন বছর কেটে গেছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল শুনানি এই বছরের শেষের দিকে শুরু করতে পারে কিনা তা নিয়ে  এখনও   সংশয়ে  রয়েছেন আইনজিবিরা। এদিকে, এক দশক আগে ওই ঘটনায় বিস্ফোরক আইন মামলার বিচার এখনও বিচারিক আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে বিদ্রোহের সময় পিলখানায় অর্ধ শতাধিক সেনা কর্মকর্তার হত্যার সাথে জড়িত একটি মামলায় ২০১৭ সালের রায়ে উচ্চ আদালত ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে এবং ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। ২২৮ জনকে তিন থেকে দশ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০৩ আসামির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে এখন পর্যন্ত ৪৮ টি আপিল টু আপিলের  দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, হাইকোর্টের রায়ে, যারা খালাস পেয়েছে এবং যাদের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে, রাষ্ট্র তাদের আপিলের জন্য ২০ টি লিভ  টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সব মিলিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৭১ টি আপিল ও লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯ টি আপিলের জন্য ছেড়ে যায়, এটি হ’ল আবেদন করার অনুমতি পাওয়ার জন্য আবেদন। এবং ৩২টি সরাসরি আবেদন। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, একবার আপিল দায়ের করা হলে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল শুনানির জন্য আবেদন করবে। তিনি আশা করেন যে এই বছরের শেষের দিকে আপিলের শুনানি শুরু হতে পারে।

অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী মো: আমিনুল ইসলাম বলেছেন, তিনি মনে করেন না যে এই বছরই আপিলের শুনানি শুরু হতে পারে। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বর্ডার গার্ড বিডিআরে বিদ্রোহ শুরু হয়। সেই বিদ্রোহে, ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সেনা সদর দফতরে বিদ্রোহী সৈন্যদের হাতে ৭৪ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন।

এই রক্তাক্ত বিদ্রোহে বেসামরিক নাগরিকসহ মোট ৭৪ জন নিহত হয়েছেন। জওয়ানদের বিদ্রোহ ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। সেই প্রসঙ্গে বর্ডার গার্ড বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়।

বিডিআরে বিদ্রোহের ৫৭ টি মামলা আদালতের নিজস্ব আদালতে শেষ হয়েছে। ছয় হাজার সৈন্য সেখানে বন্দী ছিল। বিদ্রোহের মামলার পর পিলখানা হত্যা মামলার বিচার শুরু হয় সাধারণ আদালতে।

২০১৩ সালে ঢাকার বিচারকের আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। এ ছাড়া ২৫৬নআসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন