• বাংলা
  • English
  • অর্থনীতি

    পিপলস ইন্স্যুরেন্সের বার্ষিক সম্মেলনে বক্তারা: কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।

    পিপলস ইন্স্যুরেন্স শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, একটি পরিবার। এ পরিবারের সদস্যদের পরিশ্রমের মাধ্যমেই এটি আজ আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। দেশ ও জাতির কল্যাণে আগামী দিনেও কঠোর পরিশ্রম ও তপস্যার মাধ্যমে একে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

    রাজধানীর বারিধারার ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের (ইউআইটিএস) রত্নগর্ভা তাহমিনা রহমান মাল্টিপারপাস হলে গতকাল পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বার্ষিক কনফারেন্স-২০২৫ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও পিএইচপি পরিবারের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “আল্লাহর দয়া, কঠিন পরিশ্রম, তপস্যা আর খালেস নিয়তের মাধ্যমে জীবনের সফলতা সম্ভব। জীবনে বড় হতে হলে স্বপ্ন থাকতে হবে। নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্য কাজ করতে হবে। তাহলেই সফল মানুষ হওয়া যাবে।” 

    পিপলস ইন্স্যুরেন্স আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য এই ব্যক্তিত্ব আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, এই কোম্পানি এতদূর আসার পেছনে রয়েছে আল্লাহর দয়া, কঠোর পরিশ্রম ও তপস্যা”। তিনি বলেন, “নবীজী (সা.) বলেছেন, নিয়তের ওপর নির্ভর করবে কাজের ফল। আমরা পৃথিবীতে যত কাজ করি, সমস্ত কাজের ফল নির্ভর করবে নিয়তের ওপর।” তিনি নিজের জীবনের উদাহরণ টেনে বলেন, “একশ টাকা বেতনের চাকরি দিয়ে শুরু করে আল্লাহ আজ আমাকে এ পর্যন্ত এনেছেন। এর পেছনে রয়েছে আল্লাহর দয়া, কঠোর পরিশ্রম আর সাধনা ও তপস্যা।” 

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বিগত দিনে যারা কোম্পানিতে অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। পিপলস ইন্স্যুরেন্স একটি কোম্পানি নয়, এটি একটি পরিবার। সেভাবেই থাকতে হবে।” তিনি যোগ করেন, “পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির কোম্পানি। বিগত দিনের অভিজ্ঞতা ও অবদানের মাধ্যমে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। তবে ব্যবসা, বিশেষ করে সার্ভিস সেক্টরে বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন এসেছে। আমি মনে করি, এদিকে আমাদের মনোযোগী হতে হবে। কেবল ব্যবসা করলাম- বিষয়টি এমন নয়। অটোমেশন, প্রযুক্তির ব্যবহার, ম্যানেজমেন্ট স্টাইল ইত্যাদিতে বিশ্বব্যাপী অনেক পরিবর্তন এসেছে। এ ক্ষেত্রে আমাদেরও পরিবর্তন আনতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, পিপলস ইন্স্যুরেন্সেও অনেক পরিবর্তন হয়েছে।”

    আমীর খসরু বলেন, “বাংলাদেশের ইন্স্যুরেন্সের ওপর অনেকের আগ্রহ আছে। তারা দেখছেন, এ সেক্টর কোথায় যাবে। কারণ বিদেশে সার্ভিস সেক্টরের মধ্যে ইন্স্যুরেন্স একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। তাদের যদি আমরা পার্টনারশিপে আনতে চাই, তাহলে কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট, ব্র্যান্ডিংয়ে কতটুকু পরিবর্তন এসেছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যারা ব্যবসা করছেন, তারা কিন্তু তাদের কোম্পানিকে নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করছেন। আমি মনে করি, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের সেই সক্ষমতা আছে।”

    কনফারেন্সে আরও বক্তব্য দেন- পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান খালেদ, পরিচালক আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল হক, পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক (অর্থ) ও  পিপলস ইন্স্যুরেন্স  কোম্পানির পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন, অন্যান্য পরিচালক, ইন্ডেপেন্ডেন্ট পরিচালক ও কোম্পানির সকল উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ পাটোয়ারী।

    দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন সারা দেশের সব কর্মকর্তারা।

    Do Follow: greenbanglaonline24