পিপলস ইন্সুরেন্সের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান পিপলস ইনসুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের (পিআইসিএল) বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘পিআইসিএল বিজনেস কনফারেন্স-২০২৪’ এ সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ পাটোয়ারী।
সম্মেলনে কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয় ও সারাদেশের শাখা অফিসসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। দেশের অন্যতম শিল্প গ্রুপ পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তবে অসুস্থতার কারণে তিনি থাকতে পারেননি।
সম্মেলনে পিআইসিএলের পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, ‘আমরা চাই আগামী দিনেও নিজেদের এগিয়ে নিতে। এ জন্য লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সবার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকতে হবে। আমরা কর্মীদের জন্য অনেক কিছু করতে চাই, কিন্তু চলমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে অনেক সময় চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে হয় না। এজন্য আমাদের একটু সময় দিতে হবে। আপনারা জানেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ডলার সংকট সবাইকে প্রভাবিত করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে আমাদের সবাইকে ২০২৪ সাল কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমাদের প্রতিটি কর্মীকে একনিষ্ঠভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা সেভাবেই করতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আপনাদের সঙ্গে নিয়েই কাঙ্খিত সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌছবো।
কোম্পানির চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে ব্যবসার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলতি বছরও একই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’ যা পূরণে কোম্পানির সব পর্যায়ের কর্মীর সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা কামনা করেন তিনি।
প্রধান আলোচক ইনসুরেন্স কোম্পানিটির পরিচালক আমির হুমায়ুন মাহামুদ চৌধুরী বলেন, ‘আজকের এ অবস্থানে আসতে কোম্পানির ম্যানেজার থেকে শুরু করে প্রতিটি কর্মী কী পরিমাণ শ্রম দিয়ে আসছেন আমরা তা জানি। তাদের কারণেই এতদূর এসেছি। বর্তমানে গোটা বিশ্বে ভূরাজনৈতিক যে অবস্থা তাতে কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে বলা যাচ্ছে না। পৃথিবীর রাজনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান নেই বললেই চলে। তারপরও এখানে লোক সংখ্যা বেশি হওয়ায় সবকিছুতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। তারপরও আমাদের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা যাতে পূরণ হয় সেই চেষ্টা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, প্রতিটি জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তাই, প্রতিটি কর্মীর প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যায় কিনা আমরা ভাবছি। আমরা বাইরের লোকদের নিয়ে আসছি না। কোম্পানির যোগ্যদেরই পদোন্নতি দিয়ে আনা হচ্ছে। এই ধারা চালু থাকুক আমরা চাই।
সম্মলনে ইন্সুরেন্স কোম্পনিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম আজিজুল হোসেন বলেন, ‘১৯৮৫ সালে পিপলস ইনসুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের যাত্রা শুরু হয়। এরপর নানা ক্রান্তিকাল মোকাবিলা করে পিআইসিএল আজকের অবস্থানে এসেছে। চলমান বৈশ্বিক সংকটেও আমাদের কর্মীরা সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করেছেন। আগামী দিনগুলোতে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে প্রতিটি কর্মীকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষতা দেখাতে হবে।’
এ সময় যারা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছেন তাদের হাতে সনদ তুলে দেন ইনসুরেন্সের চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ পাটোয়ারী এবং দুই পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন ও আমির হুমায়ুন আহমেদ চৌধুরী। এ ছাড়া সেরা শাখা ম্যানেজারদের হাতেও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
উম্মুক্ত আলোচনায় কোম্পানিটির শাখা প্রধানরা বলেন, নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়েও আমরা সফলভাবে ব্যবসা করার চেষ্টা করছি। বর্তমানে মার্কেট অনেক বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ। কাজেই এটিকে সামনে রেখে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। সেটিকে বাস্তবায়ন করতে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী থেকে শুরু করে সব পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধার দিকে নজর দিতে হবে।