পিএইচপি এমডি’র উদ্দোগ- স্বপ্নের বাড়ী সুবর্ণচরে! আরও ১১ ঘর প্রস্তুত। ঘর পাবেন হতদরিদ্ররা
নোয়াখালীর সর্বদক্ষিণের অঞ্চল হচ্ছে সুবর্ণচর। ঐ চরের অধিকাংশ মানুষ হতদরিদ্র। সামান্য আয়ে চলে তাদের সংসার। কিন্তু খেয়ে না খেয়ে পরিবার নিয়ে দিন চলে গেলেও অধিকাংশ সময় খোলা আকাশের নিচে তাদের বসবাস করতে হয়। এমন হতদরিদ্র লোকদের মাঝে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান পসকো ইন্টারন্যাশনাল ও বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান পিএইচপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক-এর পক্ষ থেকে আরও ঘর নিমার্ণ করে দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে ১১ ঘর তৈরি হয়ে গেছে। যেগুলো খুব শিগগির হস্তান্তর করা হবে। এর আগে গত ডিসেম্বরে একই এলাকায় ৫টি ঘর তৈরি করে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এসব কিছু সম্ভব হচ্ছে পিএইচপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের প্রচেষ্টায়।
উল্লেখ্য, পসকো-পিএইচপি ফ্যমিলি হতদরিদ্রের জন্য লোহা, কংক্রিট ও রংগীন ঢেউটিনের তৈরী ৬০০ বর্গফুটের ঘর তৈরি করে দিচ্ছে। তিন কক্ষের প্রতিটি ঘরে দুটি শোবার কক্ষ, মাঝখানে একটি বসার কক্ষ, সামনে একটি বারান্দা এবং একটি বাথরুম রাখা হয়েছে। এই কাঠামোর বাইরে আছে একটি রান্নাঘর। নিজের জমি আছে কিন্তু দরিদ্র আর বাড়ি নির্মাণের সামর্থ্য নেই এমন পরিবারকে বেছে বেছে বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর-ওয়াপদা ইউনিয়ন ও চর-ক্লার্ক ইউনিয়নে বাসিন্দা এবং পসকো-পিএইচপির স্বপ্নের বাড়ি পাওয়া জ্যোৎস্না আরা বেগম (৫৫) এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি কখনও পাকা ঘর পাব। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছে পসকো-পিএইচপি ফ্যামিলি। এখন সন্তানদের নিয়ে সুখেই আছি। অথচ আগে আমাদের অধিকাংশ সময় খোলা আকাশের নিচে থাকতো হতো। ঘর পাওয়া কামাল হোসেন (৩৫) বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভেঙে যায় আমার ঘরটি। তখন বসবাসের অনুপযোগী ছিল। সেখানে আমি পাকা বাড়ি পেয়েছি। তার জন্য আমি ও আমার পরিবার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
পিএইচপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, প্রতিটি ঘর নির্মাণ করতে খরচ পড়েছে চার লাখ ৭০ হাজার টাকা। ঘর নির্মাণে পিএইচপি ফ্যামিলির তৈরি হওয়া রঙিন ঢেউটিন ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে গুণগত মান ও স্থায়িত্ব অক্ষুন্ন থাকে। তিনি বলেন, পসকো’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আমি গত ১১ ডিসেম্বর যৌথভাবে অবহেলিত এলাকাটি পরিদর্শন করি ও সেখানকার মানুষের দুরবস্থা দেখে আমরা হতাশ হই। আমরা মানবিক বিবেচনায় চরের বাসিন্দাদের ক্রমানয়ে ঘর তৈরি করার মনস্থির করি। এবারও পসকো’র সহযোগিতায় ১১ ঘর তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এভাবে ক্রমন্নয়ে চরের বাসিন্দাদের জন্য ঘর করে দেওয়া হবে। আমরা সৌভাগ্যবান ও আনন্দিত যে, চরের অসহায় মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ পাচ্ছি।
জনাব, ইকবাল হোসেন বলেন, সরকারের একার পক্ষে সারা দেশে দরিদ্র জনগণের আবাসন নিশ্চিত করা সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ। তাই আমরা সরকারকে সহায়তা করতে এ উদ্যোগ নিয়েছি। পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সমাজের অসহায় মানুষকে সেবা করতে ভালোবাসেন। তারই ধারাবাহিকতায় সুবর্ণচরে হতদরিদ্রের জন্য তৈরি করা ঘর। যেগুলো খুব দ্রæত হস্তান্তর করা হবে।