পাহাড়ে যৌথ অভিযান।কেএনএফের সাত সদস্যসহ সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার গ্রেফতার
বান্দরবানের পাহাড়ে যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত কেএনএফের সাতজন এবং সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ক্যাশিয়ারসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রুমা আর্মি জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে এম আরাফাত আমিন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসময় ৭টি দেশীয় বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, কেএনএফ পোশাক, ল্যাপটপ, এক জোড়া বুট, ১টি ছুরিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে রুমা সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ারকে কেএনএফের আরও দুই সদস্যসহ সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রুমা-থানচিতে পাহাড়িদের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের সহিংসতার ঘটনায় রুমা-থানচিতে ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হামলার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায় সেনাবাহিনী-র্যাব-পুলিশের অভিযান চলছে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, যৌথবাহিনী থানচি থেকে একজন ও রুমা থেকে ছয়জনকে আটক করেছে। এর আগে সদরের শরণ পাড়া থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করা হয়। সেনাবাহিনী-র্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে এ পর্যন্ত আটজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে কেএনএফ দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে বান্দরবান জেলাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সরঞ্জামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে চারটি সাঁজোয়া যান (এপিসি) আনা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এটি বাড়ানো হবে। চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় এসব সাঁজোয়া যান রুমা-থানচি উপজেলায় ব্যবহার করা হবে। অন্যদিকে রুমা বাস মালিক সমিতির লাইনম্যান জাকির হোসেন জানান, সোমবার সকাল থেকে গণপরিবহনসহ সব ধরনের অভ্যন্তরীণ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অপ্রয়োজনে কেউ ঘর থেকে বের হয় না।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, কেএনএফ সদস্যরা দুটি গাড়ি ব্যবহার করে ব্যাংক ডাকাতি করতে আসে। দুটি গাড়ির একটি জব্দ ও চালক কফিল উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে রুমা, থানচি, রোয়ানছড়ি উপজেলায় ব্যাংক বন্ধ থাকায় বান্দরবান জেলা সদরে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় গ্রাহকের ভিড় বেড়েছে। গ্রাহকদের ভোগান্তি।
এদিকে রোববার হেলিকপ্টারে করে বান্দরবান গেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বান্দরবান ৬৯ সেনা অঞ্চলের সেনা কর্মকর্তাদের সাথে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশে কেএনএফ সশস্ত্র গ্রুপের বিরুদ্ধে সম্মিলিত অভিযান শুরু হয়েছে, এ পর্যন্ত দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে।