পাকিস্তানে ইন্টারনেট ধীরগতি
পাকিস্তানে ইন্টারনেট সংযোগ অত্যন্ত ধীরগতির বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির ব্যবহারকারীরা। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। সারাদেশে চলমান আন্দোলন মোকাবিলায় তারা এ পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো সংকটের কোনো কারণ জানাতে পারেনি। সাংবাদিকরা ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য সরকারী নিয়ন্ত্রক পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটির (পিটিএ) সাথে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু পিটিএ থেকেও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল ডেটা – উভয়ই ইন্টারনেট পরিষেবা ধীর হয়ে গেছে।
পাকিস্তানে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে দেশটির শিক্ষার্থীরা। দেশের সংবিধান পুনরুদ্ধার এবং ছাত্র ইউনিয়ন পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর ছাত্র শাখা এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। পাকিস্তান স্টুডেন্ট ফেডারেশন (পিএসএফ) বর্তমান সরকারকে ৩০ আগস্টের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মুক্তি দিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে।
১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার সরকারের তীব্র বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পতন ঘটে। এই আন্দোলনের ভিডিও পাকিস্তানি ছাত্রদেরও উজ্জীবিত করছে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর ছাত্র সংগঠন ইনসাফ স্টুডেন্ট ফেডারেশন (আইএসএফ) বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে, যা শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো বাংলাদেশী ছাত্র আন্দোলনের দ্বারা স্পষ্টত প্রভাবিত হয়েছে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তা জানিয়েছে।
আইএসএফ সভাপতি আরসলান হাফিজ, সহ-সভাপতি আমজাদ আলী এবং অন্যরা বলেছেন পাকিস্তান এখন একটি “ফ্যাসিবাদী শাসনের” অধীনে। এর বাইরে অতিরিক্ত বিদ্যুতের বিল ও করের পাশাপাশি নজিরবিহীন মূল্যস্ফীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের মানুষ।